'রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কাঠের পুতুল। কাঠের পুতুলের সুতো রয়েছে মমতার হাতে। বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার, এই চক্রান্ত করেছিল তৃণমূল। আর ভোটের দিন প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট লুট করার ষড়যন্ত্র তৃণমূলের।
অশান্ত ভাঙড়ে গিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রোষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে আক্রমণ করতে গিয়ে মাত্রা ছাড়িয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে গিয়েছে কমিশন ও রাজ্য । সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন যদি সত্যিই যান, তাহলে প্রমাণ হবে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য আলাদা কিছু না। তৃণমূল যা চাইছে, মুখ্যমন্ত্রী সেটা বলে দিচ্ছেন আর রাজীব সিনহা সেটাই করছেন।
সাংবাদিকদের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জেলায় অশান্তির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের, এই মর্মে এবার অভিযোগ দায়ের করল কলকাতা প্রেস ক্লাব।
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার হিংসাবিধ্বস্ত এলাকা বাসন্তী বিধানসভার ঝড়খালী এলাকার জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
‘আরে পাগল কেন্দ্রীয়বাহিনী কি করবে। ভোটতো দেবে সাধারণ মানুষ। পাড়ায় পাড়ায় জানিয়ে দিন, অন্য কোন পার্টিকে ভোট দিয়ে লাভ নেই। কারণ তৃণমূল ছাড়া কোন কাজ হবে না। সিপিএম ভুলে গেছো প্রতি ৫ সেকেন্ডে দুটো করে ভোট।’
মনোনয়ন পত্র জমা নিয়ে আগেই সিপিআইএম কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এবার বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা বীরভূমের নানুরে, অভিযোগের তির তূনমূলের বিরুদ্ধে ।
মনোনয়নের শেষপর্বে ফের রণক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের বাইরে সংঘর্ষ বাঁধে।
২০১৯-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেপরোয়া সন্ত্রাস এখনও ভোলেনি রাজ্যের মানুষ। তারপর অনেক টালবাহানার পর রাজ্যে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু, এবারও নির্বাচনী সন্ত্রাসে যে ছবি ধরা পড়ছে তাতে আরও বেশি করে আস্থা হারাল পুলিশ প্রশাসন।
দেশভাগ হওয়ার আগেই পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গে একাধিকবার ধর্মীয় হিংসা, হানাহানি দেখেছে বাঙালি। স্বাধীনতার পরেও সেই ধারা বদলায়নি। বাঙালি হিন্দু প্রাপ্য অধিকার পায়নি।