সংক্ষিপ্ত
রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বাইক নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাদের হাতে ছিল হকিস্টিক, উইকেট।
আবারও বেআব্রু হাসপাতালের নিরাপত্তা। এসএসকেএম হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ। হকিস্টিক, উইকেট নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে গুণ্ডামি করার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের। দুষ্কৃতী দলের তাণ্ডবের মাঝে পড়ে জখম হয়েছে এক রোগীর আত্মীয়। এই ঘটনার পরই আতঙ্ক বাড়ছে এসএসকেএম হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বাইক নিয়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী এসএসকেএম হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাদের হাতে ছিল হকিস্টিক, উইকেট। ট্রমা কেয়ার ইউনিটের সামনে এক রোগীর আত্মীয়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা ছিল পুরোপুরি নিস্ক্রীয়। এরপরই এসএসকেএম হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ রাজ্যের সবথেকে নামি সরকারি হাসপাতাল। সেখানেই সাতসকালে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়ে চলে গেল। কিন্তু পুলিশ প্রায় হাত গুটিয়ে বসে রইল। কোনও পদক্ষেপই নিল না। তাদের প্রশ্ন সরকার বলছে হাসপাতালে ৯০ শতাংশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা - এটাই কী সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে ১০-১৫ জনের একটি দল একাধিক বাইক নিয়ে হাসপাতালে প্রায় দাপিয়ে বেড়ায়। বাঁকুড়া থেকে আসা এক রোগীর আত্মীয়কে মাপধর করা হয়। রোগীর আত্মীয়ের মাথা ফেটে যায়। তবে দুষ্কৃতীদের পরিচয় এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু রাজ্যের সবথেকে বড় সরকারি হাসপাতালে এজাতীয় ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘ দিন ধরেই সরব হয়েছে। আরজি করের ঘটনার পর থেকেই এই বিষয়ে নিয়ে আন্দোলনও চালাচ্ছে। যদিও সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল হাসপাতালের নিরাপত্তা ৯০ শতাংশ ব্য়বস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপর এই ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে হাসপাতালের নিরাপত্তা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।