উৎসবের মরশুম শুরুর আগে রেকর্ড ভিড় কলকাতা মেট্রোয়, কত টাকা আয় করল রেল?
Kolkata Metro News: উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই লক্ষ্মীলাভ কলকাতা মেট্রোর। সপ্তাহের শুরুতেই কত টাকা আয় করল মেট্রোরেল? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

কলকাতা মেট্রোয় রেকর্ড ভিড়
উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই ১ সেপ্টেম্বর সোমবার কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে তাদের সব ক’টি করিডরে মিলিয়ে মোট ৮.০৭ লক্ষ যাত্রী পরিবহন করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র নীল লাইনে যাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫.৮৪ লক্ষ। নীল লাইনে সর্বাধিক যাত্রী উঠেছেন দমদম স্টেশনে (৬৬ হাজারেরও বেশি)। এছাড়া এসপ্ল্যানেডে ৫৭ হাজার এবং রবীন্দ্রসদনে প্রায় ৪১ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
বাড়ছে মেট্রোয় যাত্রীর সংখ্যা
সবুজ লাইনে সল্টলেক সেক্টর ভি থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত যাত্রীর সংখ্যা ছিল ২.০৪ লক্ষেরও বেশি। এই করিডরে সর্বাধিক যাত্রী উঠেছেন শিয়ালদহ স্টেশনে (৪৯ হাজারেরও বেশি)। হাওড়া মেট্রোতে যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৮,৭০০ এবং হাওড়া ময়দানে ২৫,৫০০। হলুদ, কমলা ও বেগুনি লাইনে যাত্রী সংখ্যা যথাক্রমে ৭ হাজার, ৫,৫০০ এবং ৬,৭০০ জনের কাছাকাছি ছিল।
কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ?
মেট্রো কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার জন্য মোবাইল কিউআর টিকিটিং ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করতে হয়। যাত্রীদের সচেতন করতে ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস–এর সহযোগিতায় বিশেষ প্রচারাভিযান চলছে। এই প্রচারে ‘আমার কলকাতা মেট্রো’ মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার শেখানো হচ্ছে। ফলও মিলছে— সোমবার একদিনেই ৩১ হাজারের বেশি কিউআর টিকিট বুক হয়েছে। এর মধ্যে নীল লাইনে ১৫,৫৮৬ এবং সবুজ লাইনে ১৫,৪৫৩ কিউআর টিকিট বুক করা হয়েছে
কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন সাময়িক বন্ধ
কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় নীল লাইনে রেক উল্টোদিক ঘোরাতে সময় বাড়ছে এবং তাতে যাত্রীসেবা ব্যাহত হচ্ছে। শহীদ খুদিরাম স্টেশনে যাত্রী নামিয়ে খালি রেক কবি সুভাষে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং ফের সেখান থেকে শহীদ খুদিরামে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এর ফলে রেক রিভার্সালের সময় বেড়ে গিয়ে নীল লাইনে জট তৈরি হচ্ছে।
শর্ট টার্মিনেট করা হচ্ছে মেট্রো
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশকিছু মেট্রো মহনায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে শর্ট টার্মিনেট করা হচ্ছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে কবি নজরুল থেকে আপ লাইন ট্রেন এবং রবীন্দ্র সরোবর থেকে ডাউন লাইন ট্রেন মহনায়ক উত্তম কুমারে পৌঁছতে পারছে না। এর সঙ্গে রেকের দরজা বন্ধ করতে অসুবিধা হওয়ায় সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।
