সংক্ষিপ্ত

অভয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করলেন তাঁর বাবা। স্যালাইন কাণ্ডের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ও চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। ভুল ওষুধের কারণেই মেয়ের মৃত্যু বলে দাবি তাঁর।

১৮ জানুয়ারি আরজি কর কাণ্ডের ঘোষণা। তার ঠিক আগের দিন বোমা ফাটালেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সদ্য স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুতে যখন তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য তখন চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুললেন।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, ভিপি একজন রোগীতে সেই ওষুধ দিয়ে মেরেও ফেলেছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর কিছুদিন আগেই এটা হয়েছে। ওষুধের রিয়েকশনে রোগীটা মারা গিয়েছিল। আমার মেয়ে বাড়িতে এসে বলেছিল। বলেছিল, বাবা পেশেন্টটা খুবই গরিব ছিল। তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিকটা দেওয়ার পর এমন অবস্থা হল, সারা শরীরে অ্যালার্জি বেরিয়ে গেল। পুরে যাওয়ার মতো অবস্থা হল। তিন দিন পর মারা যায়। এই পেশেন্টকে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডও বসেছিল। আমার মেয়ে সে সময়েই বলেছিল। এটাই আমার মেয়ের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ভিপিও তথ্য প্রমাণ লোপাটে জড়িত।

স্যালাইন কাণ্ডের ভুল ড্রাগই দায়ী হলে দাবি করলেন অভয়ার মা। বললেন, এটা তো রাজ্য সরকারের দোষ, এখন ডাক্তারদের ওপর চাপানো হচ্ছে। হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলে, এখন যেমন রোগীর বাড়ির লোকের টেনশন, ডাক্তারদেরও টেনশন, ভয়। ডাক্তাররা ভাবছে, কী ওষুধ দেব, তাতে কী বেরোবে। ভয় তো ওদেরও।

তিলোত্তমার বাবা বলেন, কালই এক জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, বলছিল, কাকু ডাক্তারি ছেড়ে দিয়ে মুদিখানার দোকান খুলে বসব। এসব কেন রিস্ক নেব?

অন্য এক সাক্ষাৎকারে অভার মা বলেন, মেয়ের মৃত্যুর সময় থেকে দেখছি যারা ক্রাইম করছে তাদের কোনও ভয় নেই। একটা অদৃশ্য হাত আছে তাদের মাথায়। সেই হাতটা আমরা বের করতে চাই।…আমার মেয়ে চলে গেলে সেই বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এতে একটা অদৃশ্য হাত আছে এর পিছনে। আমি মনে করি সেই হাত মুখ্যমন্ত্রীর। এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে কটাক্ষ করেন অভয়ার মা ও বাবা। অভয়ার বাবাও মুখ্যমন্ত্রীর এই কাণ্ডের জন্য দোষী বলেন। সঙ্গে তাঁরা চেস্ট মেডিসিন বিভাগের দিকে আঙুল তোলেন।