সংক্ষিপ্ত

পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়াতে অভীক দে-ই শেষ কথা। তিনি এতটা ক্ষমতাবান যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে আইবুড়ো ভাত থেকে জন্মদিন পালন করেছেন।

 

আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। প্রকাশ্যে এসেছে ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর কথা। সন্দীপ ঘোষের কথা সকলেই জেনেছি। এবার আরও এক চিকিৎসকের উপস্থিতি সকলের নজর কাড়ল। তিনি বর্ধমান মেডিক্যালে রেডিওজির নোডার অফিসার ছিলেন। বর্তমানে এসএসকে এম হাসপাতালে সার্জারি বিভিগের পিজিটি হলেন অভীক দে। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। পরীক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়াতে অভীক দে-ই শেষ কথা। তিনি এতটাই ক্ষমতাবান ব্যক্তি যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ভিতর বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আইবুড়ো ভাত থেকে জন্মদিন পালন করলেও কেউ কোনও অভিযোগ করার সাহস পায়নি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসের গেস্ট হাউজেও তিনি অনুষ্ঠান করেছেন। কীভাবে সরকারি হাসপাতালে এমন অনুষ্ঠান করা যায়, তা নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন। তাঁর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে খোদ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরই পর আরজি কর কাণ্ডের দিন সেখানে অভীক দে-র উপস্থিতি সকলের মনে তুলেছে প্রশ্ন। স্টাফ না হয়েও কীভাবে তিনি উপস্থিত হলেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এ কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেন। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের লেকচারার থিয়েটারে ঢুকে এক অভিও বার্তায় সে কথা স্বীকার করেন এ কথা। যা মুহূর্তে হল ভাইরাল।

এদিকে এখনও চলছে তদন্ত। আর জি করের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকাল গ্রেপ্তার হন সন্দীপ ঘোষ। এখনও চলছে তদন্ত।