সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের কীর্তির যেন শেষ নেই! তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। এবার যেমন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মারাত্মক এক অভিযোগ আনা হল।

আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে ৮ আগস্ট রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? এখন এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে সকলে। চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার রহস্যভেদ করতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। মামলা গিয়ে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে মারাত্মক তথ্য পেল সিবিআই। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগে কর্মরত থাকাকালীন সন্দীপ (Sandip Ghosh) রূপান্তরকামীদের যৌন নিগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ!

আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের কীর্তির যেন শেষ নেই! তাঁর জমানায় হাসপাতালে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। এবার যেমন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মারাত্মক এক অভিযোগ আনা হল।

কী অভিযোগ আনা হয়েছে?

সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের ‘ডেরা’য় ডেকে রূপান্তরকামীদের ওপর যৌন নিগ্রহ করতেন তিনি। সারা রাত ধরে নাকি চলতো তাঁর ‘অত্যাচার’। অভিযোগ, এই কারণে নাকি অনেকে রক্তাক্তও হয়েছিলেন। অভিযোগকারী বলেন, সেই সকল তথ্য এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দিতে চান তিনি।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এই নিয়ে একজন রূপান্তরকামী মুখ খুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে কর্মরত থাকাকালীন সমাজমাধ্যমের দ্বারা বহু রূপান্তরকামীর নম্বর জোগাড় করতেন সন্দীপ। এরপর তাঁদের ডেকে পাঠাতেন ওই সন্দীপ।

এদিকে, শনিবার রাতে আরজি করের চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। এদিন তাঁকে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। গতকাল সন্দীপের পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসিও। তাঁকেও তিনদিনের হেফাজতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে হংকংয়ের একটি ঘটনাও শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। ২০১৭ সালে সেদেশের এক পুরুষ নার্সিং পড়ুয়া অভিযোগ করেন, সন্দীপ (Sandip Ghosh) তাঁর নিতম্বে আলতো করে তিনবার চাপড় মেরেছিলেন। শুধু তাই নয়, এরপর নাকি ওই ছাত্রের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।