সংক্ষিপ্ত

চিকিৎসকদের সংগঠনের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক সামাজিক সংগঠন পুজোর মুখেই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দিয়েছে। ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।

 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেত তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে কাল, মঙ্গলবার কলকাতা মিছিল হবে। যদিও প্রথমে পুলিশ মিছিলেন অনুমতি দেয়নি। শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট মিছিল করার ছাড়পত্র দিয়েছে। মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সংগঠনের পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় ৫৫টি সামাজিক সংগঠন এক লক্ষ মানুষ নিয়ে মিছিলের ডাক গিয়েছে। অন্যদিকে এদিন শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে পুজোর ভিড় পুলিশ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে?

চিকিৎসকদের সংগঠনের পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক সামাজিক সংগঠন পুজোর মুখেই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দিয়েছে। ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি যৌনকর্মী, রূপান্তরকামী, রিকশাচালক,স্বাস্থ্যকর্মী, সমাজসেবী থেকে শুরু করে থাকছে ক্রীড়াপ্রেমীরাও। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকরাও এই মিছিলে পা মেলাতে চান। মিছিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তারপরই উদ্যোক্তরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। পুজোর মুখে কলকাতা হাইকোর্ট মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখার কথাও বলেছে হাইকোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্ট বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি মিছিলে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা স্পষ্ট করে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ মিছিলের জন্য যানজট ও নিয়ন্ত্রণের সমস্যা দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ এদিন শুনানিতে কলকাতা পুশিলকে একাধিক প্রশ্ন করে।

কারণ কলকাতা হাইকোর্ট মিছিলে উপস্থি মানুষের সংখ্যা জানাতে বলেছিল উদ্যোক্তাদের। পাল্টা মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা আমাদের কতজন থাকবে সেই সংখ্যা বলতে পারি। কিন্তু সাধরণ মানুষ যদি মিছিলে যোগ দেন, সেই সংখ্যা আগে থেকে বলতে পারা সম্ভব নয়।' তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, 'যদি এই মিছিলে ১০ লক্ষ সাধারণ নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবে যোগ দেন, তাঁদের আটকানো সম্ভব কি? প্রতিবাদ জানানো তো তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার। রাজ্য কি ট্র্যাফিকের কারণ দেখিয়ে সেই অধিকার খর্ব করতে পারে?'

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নাগরিকদের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। এর পরেই ১৪৪ ধারার প্রসঙ্গ ওঠে। ধর্মতলা চত্বরে ওই ধারা জারি করা নিয়ে বিচারপতি ভরদ্বাজ বলেন, 'গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে দিন, তা হলে আর কোথাও মিটিং বা মিছিল হবে না।' এরপরই হাইকোর্ট দুর্গাপুজোয় পুলিশের ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও তিনি তুলে আনেন। বিচারপতির মন্তব্য, 'যাঁরা দুর্গাপুজো করেন, তাঁরা কি জানেন কত দর্শক আসবেন? পুজোর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামেন। বছরের পর বছর ধরে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে সবটা নিয়ন্ত্রণ করছে।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।