সংক্ষিপ্ত

৯ অগাস্ট আরজি করে হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের নিহর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেমিনার হল থেকে। তার ঠিক এক দিন পরেই সেমিনার হল লাগোয়া এলাকায় সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ।

 

 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল ঘটনার পরের দিনই। যা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। আরজি করের সংস্কারের কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে। প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও ওঠে। কিন্তু কার নির্দেশে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করা হয়েছিল? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ১০ অগাস্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর শুরু হয়েছিল। প্রায় ২৫ দিন পরেই সেই তথ্য সামনে এসেছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি বিজ্ঞপ্তি। যেখানে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সংস্কারের কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং সন্দীপ ঘোষ। সেই সময় তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন।

৯ অগাস্ট আরজি করে হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের নিহর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেমিনার হল থেকে। তার ঠিক এক দিন পরেই সেমিনার হল লাগোয়া এলাকায় সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ১০ অগাস্ট সংস্কার কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১২ অগাস্ট চতুর্থ তলাতে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হওয়ায় প্রবল জনরোষ তৈরি হয়। তারপরই পিছু হটে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয় সংস্কারের কাজ।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১০ অগাস্ট সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বা হয়েছিল জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগের ডক্টরস রুম ও লাগোয়া শৌচালয় মেরামতি ও সংস্কারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্কারের জন্য আরজি কর কর্তৃপক্ষের ওয়ার্ক অর্ডারের একটি প্রতিলিপি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এটি সেই বিজ্ঞপ্তি। যার সত্যতা খতিয়ে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

 

এই বিজ্ঞপ্তির সত্যতা খতিয়ে দেখেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। এই প্রতিলিপ তথ্য অনুযায়ী আরজি করের কর্তব্যরত পুর দফতরের ইঞ্জিয়ারকে চিঠি লিখে সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য ডক্টরস’ রুম এবং তার সংলগ্ন পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক শৌচালয়ের অভাব রয়েছে। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের দাবি মতো তাই আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব এবং মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে।'

সূত্রের খবর আরজি করে চিকিৎক হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনার পরেই একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের প্রায় সব চিকিৎসকরা। সেখানেই শৌচাগারের বিষয়টিও উঠেছিল। তারপরই কী তড়িঘড়ি সন্দীপ ঘোষ নির্দেশ দিয়েছিল সেনিমার রুমের পাশ্ববর্তী এলাকায় ভাঙচুর চালাতে, তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।