সংক্ষিপ্ত
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকে ধর্ষণ-খুনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় হাসপাতালের কর্মী নয়। কিন্তু পুলিশের বড়কর্তার ঘনিষ্ট হওয়ায় তার অবাধ যাতায়াত ছিল আরজি কর-সহ কলকাতার একাধিক সরকারি হাসপাতালে। ৩১ বছর চিকিৎসক খুনে তাকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তারমধ্যে অনুশোচনার লেসমাত্র ছিল না। পুলিশ সূত্রের খবর অল্পকিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পরেই সঞ্জয় ভেঙে পড়ে। খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু তারপরই সে নিজের কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুশোচনা প্রকাশ করেনি। উল্টে সে তদন্তকারী পুলিশ কর্মীদের বলেছিল তারা যেত দ্রুত তাঁর ফাঁসির ব্যবস্থা করে।
পুলিশ সূত্রের খবর জেরায় সঞ্জয় রায় বলেছিল,'আপনি চাইলে আমাকে এখুনই ফাঁসি দিয়ে দিন।' রীতিমত স্বাভাবিক রয়েছে সঞ্জয়। পুলিশ সূত্রের খবর সঞ্জয়ের মোবাইলফোনে ছিল প্রচুর পর্ণোগ্রাফি। পর্নোগ্রাফি দেখা তার নেশা ছিল বলেও অনুমান তদন্তকারী পুলিশ কর্মীদের। মোবাইলে মহিলাদের অশ্লীল ছবিও সে রাখত বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কী কারণে এক চিকিৎসকে এমন নৃশংস করে কেন খুন করা হল তা জানতে সঞ্জয়ের মনস্তত্ত্ব জানতে পুলিশ সঞ্জয়ের মোবাইল ঘাঁটছে বলেও সূত্রের খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর নিঁখুত পরিকল্পনা করে প্রায় ঠান্ডায় মাথায় চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ করেছিল সঞ্জয়। কিন্তু একটামাত্র ভুল করেছিল সে। হাসপাতালে ঢোকার সিসিটিভি ফুটেজে সঞ্জয়ের গলায় হেডসেট ঝুলতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বেরিয়ে আসার সিসিটিভি ফুটেজে হেডসেট ছিল না। সেই হেডসেট পাওয়া গিয়েছিল মৃত চিকিৎসকের পাশে। হেডসেটটি সেই সময়ও তার ফোনের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
তবে নৃশংস খুন আর ধর্ষণের পরেও সঞ্জয় রায় ছিল স্বাভাবিক। শান্তভাবে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে সাবধানে সব প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা সে করে। জামাকাপড় পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলে। কিন্তু জুতোর রক্তের দাগ ধুতে ভুলে গিয়েছিল সঞ্জয়। তার জুতোয়ে রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিশ। যার নমুনা মিলে গিয়েছে মহিলা চিকিৎসকের রক্তের সঙ্গে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।