- Home
- West Bengal
- Kolkata
- সেমিনার হল না অন্যত্র - কোথায় ধর্ষণ আর খুন করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে? দেখুন ছবিতে
সেমিনার হল না অন্যত্র - কোথায় ধর্ষণ আর খুন করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে? দেখুন ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
খুনের জায়গা নিয়ে ধোঁয়াশা
ঠিক কোথায় খুন আর ধর্ষণ করা হয়েছিল- তা নিয়ে প্রশ্ন প্রথম থেকেই। সিবিআই-ও তদন্তে নেমে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। কিন্তু কতগুলি বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তারা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
সোমবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেখানে খুন ও ধর্ষণের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতিতা যে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিল তারও উল্লেখ রয়েছে।
যে প্রশ্ন অধরা
সেমিনাম হলে যদি খুন ও ধর্ষণ করা হয়ে না থাকে তাহলে কোথায় খুন করা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে। প্রাথমিকভাবে সিবিআই-এর অনুমান খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্যত্র। দেহে এনে সেমিনাম হলের পোডিয়ামে রাখা হয়েছে।
প্রশ্নের কারণ-
তদন্তকারী সূত্রের খবর যেখানে নির্যাতিতা বিছানা পেতে শুয়েছিল সেখানে ছিল ইলেকট্রিকের তার। পাশেই সুইচ বোর্ড। প্রশ্ন কোনও মানুষ কী ইচ্ছে করে বিদ্যুতের তারের ওপর বিছানা পেতে শোবে।
সন্দেহের তালিকা
সিবিআই সূত্রের খবর সেই রাতে যারা নির্যাতিতাকে ডাকতে এসেছিল তাদেরকে নিয়েও। কারণ একজনের বয়ান অনুযায়ী সে দেখেছিল নির্যাতিতা ঘুমাচ্ছে। তাই আর ডাকেনি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে সে নির্যাতিতাকে দেখেনি। তার মনে হয়েছিল ঘুমাচ্ছে তাই আর বিরক্ত না করে চলে গেছে।
দেহ উদ্ধার
দেহ উদ্ধার হয়েছে নির্যাতিতার এক হাত মাথায় দেওয়া অবস্থায়। কিন্তু খুন আর ধর্ষণ করা হয় তাহলে কোনও মানুষই মাথায় হাত দিয়ে মরতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের কথায় মাথায় হাত দেওয়া মানেই নিশ্চিত হয়ে ঘুমানোর ভঙ্গি।
ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরে সন্দেহ
ময়না তদন্তে রিপোর্টে স্পষ্ট অজ্ঞান করার কোনও ওষুধ মৃতার শরীরে পাওয়া যায়নি। তাই নির্যাতিতাকে অজ্ঞান করে খুন আর ধর্ষণের তত্ত্ব খারিজ হয়ে যাচ্ছে। তাতেই স্পষ্ট হচ্ছে অন্যত্র খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু কোথায়?
সিবিআই সূত্র
প্রথম থেকেই সিবিআই সেমিনার হলে খুন ও ধর্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কারণ যেভাবে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল সেখানে এই কাজ হয়নি। তাই সন্দেহের নজরে ঘর ভাঙা
সেমিনার হলে কেন গেল ছাত্রী
চতুর্থ তলায় সেমিনার হল। প্রথমে জানা গিয়েছিল এই তলাতে কোনও বিশ্রামের জায়গা নেই। কিন্তু পরবর্তীকালে জানা যায় সেখানে চিকিৎসকদের বিশ্রামের জন্য দুটি কক্ষ রয়েছে। তারপরেও কেন নির্যাতিতা বিছানা পাতল ধুলো ময়লায় ভরা পোডিয়ামে। প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। সূত্রের খবর সেমিনার রুমেও বেশ ভাল শয্যার ব্যবস্থা ছিল। সেখানে কেন শুল না নির্যাতিতা।
প্রশ্ন তড়িঘড়ি ভাঙচুর নিয়েও
আরজি করে মৃত্যুর ঘটনার পরই তড়িঘড়ি ভাঙচুর শুরু হয়। আরজি কর ঐতিহ্যের মাপকাঠিতে গ্রেড টুর পুরো হেরিটেজ। কিন্তু ভাঙচুর করার এত তাড়া যে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই তা করা হয়। আর যে ঘরে ভাঙচুর করা হয় তা সেমিনার হলের পাশেই। ক্রাইম সিনের আশপাশে সাধারণত ভাঙচুর করা যায়নি। কিন্তু আরজি করে তাই করা হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে যে ঘরগুলি ভাঙচুর করা হয়েছে সেটাই আসল ক্রাইম সিন ছিল নাতো!