সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। এই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে পাকড়াও করেছে সিবিআই।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের উপর নৃশংস অত্যাচারের বিষয়ে সবই জানতেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ কর্তারা। এই চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের পর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে কর্তারা বৈঠকও করেছিলেন। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিও ক্লিপে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এক পরিবারের সন্তান ইন্টার্নের দিকে আঙুল উঠেছিল। সিবিআই তদন্তেও ইন্টার্নের কথা উঠে আসছে। এই ইন্টার্নের বিরুদ্ধে আর জি কর হাসপাতালের মধ্যেই বাইক নিয়ে ধাক্কা মেরে মৃত চিকিৎসককে ধাক্কা মেরে আহত করার অভিযোগ ওঠে। এই ইন্টার্ন নারকীয় অত্যাচার ও খুনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশের। ইন্টার্নের সঙ্গে বিবাদের জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল মৃত চিকিৎসককে। তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এই হাসপাতালেই তাঁকে প্রাণ হারাতে হল।
মৃতদেহের পাশে বসে কর্তাদের বৈঠক
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ুয়াদের অনেকে দাবি করেছেন, যে রাতে মহিলা চিকিৎসক খুন হন, তার পরদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ সঞ্জয় বশিষ্ঠ। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমে তখনও পড়ে মৃতদেহ। সেখানেই বসে নিজেদের বাঁচানোর জন্য আলোচনা সেরে নেন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ। এই আলোচনা চলাকালীন সেখানে পৌঁছে যান এক প্রভাবশালী চিকিৎসক। তিনিও সেমিনার রুমেই আলোচনায় বসেন।
সন্দীপই আত্মহত্যার তত্ত্ব প্রচার করেন!
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া, অধ্যাপক, নার্স, কর্মীদের দাবি, একনায়কতন্ত্র চালাতেন অধ্যক্ষ। তিনি কারও কথাই মানতেন না। অধ্যক্ষের নির্দেশেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে ফোন করে আত্মহত্যার কথা জানাতে বলেন উপাধ্যক্ষ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'মানুষ বলার যোগ্য নয়, চেনার মোক্ষম সময় এসে গিয়েছে,' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ শ্রীলেখা মিত্রর
'রাম-বাম, সন্দীপ ঘোষ দিতেন খাম,' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর