সংক্ষিপ্ত
রবিবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তদন্ত চালানো হয়। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তদন্ত হয়।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে প্রায় ১৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালালেন সিবিআই আধিকারিকরা। রবিবার সকাল ৬টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়িতে যায় সিবিআই দল। কিন্তু ডোরবেল বাজানো, দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পরেও বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের প্রায় ৭৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। তারপর দরজা খুলে দেন সন্দীপ। সকাল ৮টা বেজে ৬ মিনিটে সন্দীপের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষর বাড়ি থেকে বেরোন রাত ৮টা বেজে ৪৬ মিনিটে। সিবিআই আধিকারিকরা যখন সন্দীপের বাড়ি থেকে বেরোন, তখন তাঁদের হাতে বেশ কিছু নথিপত্র ছিল। তবে সারাদিন তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপের বাড়ি থেকে দুর্নীতির কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পেরেছেন কি না, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।
সন্দীপের বাড়িতে ৭ সিবিআই আধিকারিক
রবিবার সকালে সন্দীপের বাড়িতে পৌঁছে যান মহিলা আধিকারিক-সহ ৭ জন সিবিআই আধিকারিক। সন্দীপ দরজা খুলছেন না দেখে কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক বেলেঘাটা থানায় পৌঁছে যান। তবে এরই মধ্যে দরজা খুলে দেন সন্দীপ। এরপরেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সন্দীপকে ফের জেরাও শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এর মধ্যেই সন্দীপের বাড়িতে পৌঁছে যান আরও কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। কয়েকজন আধিকারিক বেরিয়েও আসেন। তাঁদের হাতে ব্যাগ ছিল। ফলে জল্পনা শুরু হয়। তবে দিনের শেষে তল্লাশি ও জেরার ফল কী হল সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
সন্দীপের গ্রেফতারির গুজব
রবিবার বিকেল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যায়, সন্দীপকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে সেরকম কিছু হয়েছে বলে জানা যায়নি। ফলে সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে যা রটেছে তা নেহাতই গুজব।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
সঞ্জয় রায়ই আরজি করের চিকিৎসককে খুন আর ধর্ষণ করেছে? জেলের মধ্যেই চলছে পলিগ্রাফ টেস্ট