সংক্ষিপ্ত
আরজি করের নির্যতিতার বিচার সহ ১০ দফা দবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলায় অনশন রবিরার, আজ ১৬ দিনে পা রাখল।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন দেখতে দেখতে ২ মাসেরও বেশি সময় কেটে গেল। আরজি করের নির্যতিতার বিচার সহ ১০ দফা দবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলায় অনশন রবিরার, আজ ১৬ দিনে পা রাখল। সোমবার নবান্ন সভাঘরে হতে পারে বৈঠক। কিন্তু তার আগে একাধিক কিন্তু রয়েছে। আলোচনার জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের পাঠান ইমেল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বর্তমানে তাঁদের জেনারেল বডির বৈঠক চলছে। বৈঠকের পরই তাঁরা জানাবেন নবান্ন সভাঘরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকে বসবেন কিনা।
মুখ্যসচিবের ইমেলঃ
শনিবার রাতেই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল করে সোমবার ২১ অক্টোবর নবান্ন সভাঘরে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই ইমেলে রয়েছে শর্ত। সেগুলি হল-১। অনশন তুলে বৈঠকে আসতে হবে। ২। ৪৫ মিনিট সময় দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩। ১০ জন প্রতিনিধি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্নঃ
প্রথম শর্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় আর তৃতীয় শর্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের কথা মাত্র ৪৫ মিনিটে কী করে ১০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা সম্ভব। ৪৫ মিনিট যদি সময় দেওয়া হয় তাহলে একটি দবি নিয়ে মাত্র ৫ মিনিট আলোচনা হবে। এত কম সময়ের আলোচনায় কী জট কতটা কাটবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। দ্বিতীয় প্রশ্ন ১০ জনের প্রতিনিধি নিয়ে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন রাজ্য ২৬টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এই আন্দোলনে যুক্ত। আর সেই কারণে ১০ জন প্রতিনিধি নবান্নে বৈঠকে গেলে বেশি সংখ্যক মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিরা সেখানে স্থান পাবেন না। ২৬টি মেডিক্যাল কলেজের একজন করে প্রতিনিধি থাকা জরুরি বলেও দবি করেছে।
অনশন প্রসঙ্গঃ
জুনিয়র ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিলেন সোমবার বৈঠকের পরই তাঁরা অনশন প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। শনিবার রাতে জেনারেল বডির বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তে শিলমহর পড়েছে। এই অবস্থায় অনশন প্রত্যাহার না হলে রাজ্য সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।