সংক্ষিপ্ত
ডাক্তারদের জন্য সাধারণত থাকে ধপধপে সাদা অ্যাপ্রন। সেই অ্যাপ্রনের ওপর নির্যাতিতার কষ্টের কথা তুলে ধরতে থাকবে রক্তে রাঙানো ১০ আঙুলের ছাপ।
দুর্গা পুজোর মধ্যেই আরজি কর আন্দোলনের রঙ ফিঁকে হতে দিতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। যেনতেন প্রকারে আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে তারা সরব। একদিকে আরজি করের নির্যতিতার বিচারের পাশাপাশি হাসপাতালে নিরাপত্তা-সহ ১০ দফা দাবিতে অনশন চলছে। অন্যদিকে হাসপাতালে পরিষেবা চালু রাখলেও প্রতিবাদে থাকছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। চতুর্থী থেকে হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে নতুন অ্যাপ্রন। সেই নতুন অ্যাপ্রন পরেই তাঁরা পরিবেষা দেবেন।
ডাক্তারদের জন্য সাধারণত থাকে ধপধপে সাদা অ্যাপ্রন। সেই অ্যাপ্রনের ওপর নির্যাতিতার কষ্টের কথা তুলে ধরতে থাকবে রক্তে রাঙানো ১০ আঙুলের ছাপ। যদিও প্রতীকী লাল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চালু রাখতেই এই প্রতীকী অ্যাপ্রন পরে চতুর্থী থেকে ডাক্তারদের পরিষেবা দিতে আর্জি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী এক ডাক্তারের কথায় সোমবার থেকে সব মেডিক্যাল কলেজেই এই অ্যাপ্রন পরেই রোগী পরিষেবা দেবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়রদেরও আবেদন জানান হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কথায় পুজোর মধ্যে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই তাঁরা পূর্ণ কর্মবিরতি তুলে নিয়েছেন। কাজেও যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেম তাঁরা।
আরজি করের নির্যাতিতার বিচার, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত, নিরাপত্তার ব্যবস্থা-সহ ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন আন্দোলন শুরু করেছে। ধর্মতলায় পুলিশের অনুমতি না পেয়েই মঞ্চ তৈরি করে অনশন চালাচ্ছেন। যদিও পাশে পেয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষদের। সোমবার অনশন আন্দোলনের তৃতীয় দিন। শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে শুরু করেছেন অনশন। প্রথমে ৬ জন জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন আন্দোলন শুরু করলেও পরবর্তীকালে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার ও আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাত অনশনে যোগ দেন। বর্তমানে ৭ জন জুনয়র ডাক্তার অনশন চালাচ্ছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।