- Home
- West Bengal
- Kolkata
- ‘খুন করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য’- হাসপাতালের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রকাশ্যে নয়া তথ্য
‘খুন করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য’- হাসপাতালের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রকাশ্যে নয়া তথ্য
ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য এল প্রকাশ্যে। তরুণী চিকিৎসককে খুন করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। পরে সেই খুনের দায় চাপাতেই ঘটনাস্থলে টেনে আনা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। সাজানো হয় ধর্ষণের প্লট। তথ্যপ্রমাণ ও সংশ্লিষ্টদের বয়ান থেকে মিলছে এমনই ইঙ্গিত।
| Published : Sep 21 2024, 11:07 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সিবিআই আধিকারিকদের ধারণা, জখম ও অচেতন অবস্থায় ওই তরুণী চিকিৎসককে সেমিনার হলে রেখে আসার পর খাবার দেওয়া হয় মদ্যপ সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। চিকিৎসকের ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য তাকে রীতিমতো টোপ দেওয়া হয়। সেই টোপে পা দেয় সঞ্জয়।
শুক্রবার ধৃত সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ফের আদালতে তোলা হয়। সন্দীপের নারকো অ্যানালিসিস টেস্ট ও অভিজিতের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি চেয়ে এদিন বিচারকের কাছে আবেদন করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।
এদিকে সিবিআইয়ের দাবি, হাসপাতালের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের।
তাঁরা বলেন, রাতে তাদের ডিউটি ছিল। সে সময় কিছু সন্দেহজনক দৃশ্য চোখে পড়ে। তাঁরা এক তরুণীকে ওপরের তলা থেকে চারতলায় নামিয়ে আনতে দেখেছিলেন। তখন তাঁরা মনে করেছিলেন যে হয়তো কোনও মহিলা চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে, নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকই সেই মহিলা কি না তা তারা নিশ্চিত করতে পারেননি।
সূত্র ধরেই হাসপাতালের ৬ তলর একটি ঘর ও চারতলায় সেমিনাম হলে লাগোয়া একটি লিফট সিবিআই আধিকারিকদের নজরে। ওই লিফট সন্ধ্যার পর সাধারণভাবে বন্ধ হয়ে গেলেও গত ৮ অগস্ট রাতে খোলা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এদিনে নির্যাতিতা কোনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল কিনা কিংবা কোনও দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের টার্গেট হন কি না তা খলিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে আরজি করের সিসিটিভর ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যক্তির চলাফেরা সিবিআই-র নজরে এসেছে। অন্যদিকে, সন্দীপ ও অভিজিৎ-র মোবাইলের যোগাযোগের তথ্য সিবিআই-র হাতে এসেছে।
এদিকে আবার অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিল। তাদের জামিন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয় কোর্টের পক্ষ থেকে। আপাতত ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
এদিকে আজ থেকে কাজে যোগ দেবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ধর্না দিয়েছিলেন তারা। গতকাল ধর্না উঠে যায়। আজ থেকে কাজে ফেরার কথা তাদের।
এদিকে এখনও চলছে অভয়ার তদন্ত। আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও চলছে তদন্ত।