সংক্ষিপ্ত
জানান, আমরা ২৯ টি মূল্যবান জীবন হারিয়েছি। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার অনুদান ঘোষণা করছে। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের গাফিলতির দোষ ঢাকতে এবার আরও এক পদক্ষেপ নিল মমতা সরকার। জুনিয়র ডাক্তাররা এখনও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই কর্মবিরতির জন্য স্বাস্থ্য পরিবষেবাতে ব্যাঘাত ঘটছে। রাজ্যের দাবি, কর্মবিরতির জেরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৯ জন রোগী। বিনা চিকিৎসায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সরকার। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমরা ২৯ টি মূল্যবান জীবন হারিয়েছি। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার অনুদান ঘোষণা করছে। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
এদিকে গতকালই জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বৈঠকে বসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠক হয়নি। কারণে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করতে চেয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাতে রাজি ছিলেন না মমতা সরকার।
অগস্ট মাসের শুরুতে আরজি কর থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়ে প্রতি মুহূর্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ডাক্তার থেকে সাধারণ সকলে। কিন্তু, এখনও দোষীদের আড়াল করতে ব্যস্ত সরকার। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সামনে আসে সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতির কথা। আর্থিক তছরূপ থেকে মৃতদেহ নিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরির মতো কাজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। এত কিছু সত্ত্বেও সরকার ব্যস্ত দোষীদের আড়াল করতে। এই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। এবার নিজের গদি বাঁচাতে নয়া পদক্ষেপ নিলেন মমতা।