সংক্ষিপ্ত
আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় সিবিআই-র সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কি নতুন চিকিৎসকের নাম আছে? এই প্রশ্ন সর্বত্র। এই নিয়ে আপাতত কোনও উত্তর মেলেনি তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে। তবে জানা গিয়েছে, এমন কিছু চিকিৎসকের নাম সরাসরি অভিযুক্ত হিসেবে না থাকলেও তাদের কী ভূমিকা ছিল সে বিষয় ওই চার্জশিটে তথ্য দিতে পারেন তাঁরা।
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় অনেকেই জড়িত বলে প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছেন তাঁর পরিবার। একই দাবি উঠে এসেছে আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং পথে নামা বহু সাধারণ মানুষ। সিবিআইয়ের পেশ করা প্রথম চার্জশিট সেরকম কিছু উল্লেখ না থাকায়, বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ দেখা যায়। এবার যদি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে আরও কয়েরজন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে, যাদের নাম ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, তা হলে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ অনেকটাই প্রশমিত হবে বলে আইনজীবীরা মনে করছেন।
অভিজিতের আইনজীবী আনওয়ার আলি অবশ্য জানান, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে, বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে। অভিজিতের গ্রেপ্তারের আগে সিবিআই অনুমতি নেয়নি। অন্য ধারায় মামলা হতে পারত। এই বিষয় সন্দীপের আইজীবী বলেন, ধর্ষণ ও খুনের মামলায় কোনও ভাবেই তাঁর মক্কেল জড়িত নন। শিয়ালদহ আদালতে আজ সোমবার থেকে আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
এদিকে বায়োলজিক্যাল প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে অভিযুক্ত হিসেবে প্রথম চার্জশিটে উল্লেখ করার পরে সম্প্রতি শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই দাবি করে, তার মানে এই নয়, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আর কারও যুক্ত থাকার সম্ভাবনা নেই। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।