কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। চার্জশিটে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ছাড়াও নাম রয়েছে আফসর আলি, বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা এবং আশিস পাণ্ডের নাম রয়েছে। প্রত্যেকেই বর্তমানে জেলবন্দি। 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল আলিপুরের সিবিআই কোর্ট। দুর্নীতি দমন আইনের ৪২০, ৪০৯, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৭ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বিচার শুরু হবে ২২ জুলাই থেকে। অর্থাৎ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নির্যাতিতার মৃত্যুর এক বছর আগেই সন্দীপের বিচার শুরু হচ্ছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল গত বছর ৯ অগস্ট। তারপরই সন্দীপদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয় পড়ুয়া ও প্রাক্তন ও বর্তমান অধ্যাপকরা।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। চার্জশিটে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ছাড়াও নাম রয়েছে আফসর আলি, বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা এবং আশিস পাণ্ডের নাম রয়েছে। প্রত্যেকেই বর্তমানে জেলবন্দি। দলের পাণ্ডা হিসেবে রয়েছে সন্দীপ ঘোষের নাম।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আর্থিক দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ, কেনার নামে টেন্ডারে এই দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ। সন্দীপ তার ঘনিষ্টদের আইন, রীতিনীতি ভেঙে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গত বছর ২৯ নভেম্বর আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা করে সিবিআই। সন্দীপকে

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় টানা ৫ দিন ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও সন্দীপ একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে। কলকাতা হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছে। চার্জ গঠন পিছিয়ে দেওয়ার দাবিও করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলিপুরের সিবিআই কোর্ট সন্দীপ ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। ১১ জুলাই থেকে শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।