- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- শমীক জমানায় 'স্বমহিমা'য় দিলীপ ঘোষ, ১৮ জুলাই মোদীর সভায় আমন্ত্রণ পেলেন বিজেপি নেতা
শমীক জমানায় 'স্বমহিমা'য় দিলীপ ঘোষ, ১৮ জুলাই মোদীর সভায় আমন্ত্রণ পেলেন বিজেপি নেতা
শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক, দিল্লিতে সফর- এবার নরেন্দ্র মোদীর সভায় ডাক। শমীক ভট্টাচার্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি হতেই দ্রুত গুরুত্ব বাড়ছে দিলীপ ঘোষের।

যেমন কথা তেমন কাজ। ক্ষমতা এসেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি দলের নতুনদের পাশাপাশি পুরনো নেতাদের গুরুত্ব দেবেন। ঠিক তেমনই করছে। তার জমনাতেই গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে বিজেপির দাপুটে নেতা হিসেবে পরিতিত দিলীপ ঘোষের।
রাজ্য সভাপতি হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই শমীর ভট্টাচার্য দিলীপ ঘোষের মানভঞ্জনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সল্টলেকে বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দুজনে বৈঠকও করেন।
এই বৈঠকের পরই দিলীপ ঘোষকে তলব কারা হয়েছিল দিল্লিতে। সেখানে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন দিলীপ। দলের কাজেই তাকে ডাকা হয়েছিল দিল্লিতে।
এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল সেই প্রক্রিয়া। দিলীপ ঘোষের কাছে পৌঁছে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার আমন্ত্রণ পত্র। বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন শমীক জমানাতেই গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে দিলীপের।
১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করবেন দুর্গাপুরে। বিহারের নির্বাচনী প্রচার সেরে দুর্গাপুরের স্টিল প্ল্যান্টের নেহরু স্টে়ডিয়ামের সভা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর।
সেই সভাতেই উপস্থিত থাকার জন্য় আমন্ত্রণ পত্র পাঠান হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। দুর্গাপুর দিলীপ ঘোষের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লোকসভা নির্বাচনে নিজের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে হয়েছিল দিলীপকে। যদিও দিলীপ জানিয়েছিলেন দল যা বলবে তাতেই তিনি রাজি। যাইহোক দুর্গাপুর পর্ব দিলীপের কাছে খুব একটা সুখবর নয়। হারতে হয়েছিল।
লোকসভা নির্বাচনের হারের পরই বিজেপিতে রীতিমত কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। দলের অন্দরে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর তৃণমূলে যোহদানেরও জল্পনা শুরু হয়েছিল। তিনি নিজে একটি রাজনৈতিক দল করছেন এমনও শোনা দিয়েছিল। সেসব এখন অতীত। প্রধানমন্ত্রীর সভায় ডাক পাচ্ছেন 'পদহীন দিলীপ'- এটাই বড় কথা।
বিজেপি সূত্রের খবর ১৭ জুলাই রাতেই দিলীপ চলে যাবেন দুর্গাপুরে। প্রয়োজনীয় কাজ করবে। দলের নির্দেশের শেষ সময়ের প্রস্তুতি দেখে নেবেন তিনি।
যে বর্ধমান - দুর্গাপুর কেন্দ্র দিলীপকে রাজনীতির ময়দানে কোনঠাসা করেছিল সেই দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকেই দিলীপ সক্রিয় রাজনীতিকে ফিরবেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
বিজেপি সূত্রের খবর শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই রীতিমত সক্রিয় দিলীপ ঘোষ। দিল্লি থেকেও তিনি রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছিলেন। রাজ্যেও তাকে পূর্বের মতই সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। দিলীপ জানিয়েছেন, শমীক ভট্টাচার্য পুরনো বিজেপির সদস্য। তার সঙ্গে তার তালমিলও যথেষ্ট ভাল। সভপতি হওয়ার পরই দিলীপ শমীককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

