সংক্ষিপ্ত

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। আর তারপরই নানা তথ্য সামনে উঠে আসছে। জানা গিয়েছে যে, ফরেন্সিক রিপোর্টে এমনও তথ্য দেওয়া হয়েছে যে- ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ধৃত সঞ্জয় রায়-ই জড়িত।

মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় (RG Kar Doctor Death Case) বহু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তিলোত্তমার ক্ষত-বিক্ষত দেহ। পরনের পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায়। দেহ উদ্ধারের একদিন পর ১০ আগস্ট সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও, সিবিআই সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। সেখানে ধৃত সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হল ঢুকতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, ওই সেমিনার হলেই চিকিৎসকে খুন করা হয়েছিল।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। আর তারপরই নানা তথ্য সামনে উঠে আসছে। জানা গিয়েছে যে, ফরেন্সিক রিপোর্টে এমনও তথ্য দেওয়া হয়েছে যে- ওই মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ধৃত সঞ্জয় রায়-ই জড়িত। নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্টেও একজনের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারই তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর সেই রিপোর্টেই উল্লেখ, আরজি করের ঘটনা 'গণধর্ষণ' নয়। একজন ব্যক্তিই গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তরুণী চিকিৎসকের দেহ যখন উদ্ধার করা হয় তখন তার দুই চোখ, মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যৌনাঙ্গে ও গলায় ছিল ক্ষত। আঘাতের চিহ্ন ছিল মুখে, পায়ে, নখে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে।

চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ করে খুন করার বিষয় স্পষ্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিৎসককে। জানা যাচ্ছে সেই ‘অভিশপ্ত’ রাতে স্লিপিং ওয়ার্ডে (স্লিপ এপনিয়া রোগী যেখানে থাকে) বেশ কিছু রোগী পর্যবেক্ষণে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় রোগীকে সেখানে নজরে রাখতে হয়। বেশিরভাগ দিনই ওই ওয়ার্ডে বেশি রোগী থাকেন না বলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা ওখানেই ঘুমোতেন বা বিশ্রাম নিতে যান। কিন্তু সেই রাতে ওই ওয়ার্ডে রোগী ছিল। সেই কারণে তরুণী চিকিৎসক সেমিনার হলে একটু ঘুমোতে যান। তারপরেই ঘটে যায় এই নারকীয় ঘটনা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।