- Home
- West Bengal
- Kolkata
- আরজি করের নির্যাতিতার মৃত্যু 'গণপ্রহার'-এ? দেহে ২৪টি আঘাতের চিহ্ন থেকে অনুমান সিবিআই-এর
আরজি করের নির্যাতিতার মৃত্যু 'গণপ্রহার'-এ? দেহে ২৪টি আঘাতের চিহ্ন থেকে অনুমান সিবিআই-এর
- FB
- TW
- Linkdin
আরজি কর কাণ্ড
আরজি কর কাণ্ডের পর কেটে গেছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও খুনি বা অপরাধে কে বা কারা তা চিহ্নিত করতে পারেনি সিবিআই। ময়না তদন্ত ও ফরেন্সিক রিপোর্ট অসম্পূর্ণ । তাতেই ধোঁয়াশা বাড়ছে সিবিআই -এর মধ্যে। তাই কতজন মিলে আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে হত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছে সিবিআই।
গণপ্রহার আরজি করের নির্যাতিতাকে
সিবিআই সূত্রের খবর আরজি করের নির্যাতিতাকে গণপ্রহার করা হয়েছে। তাতেই মৃত্যু হয় বা আধমরা অবস্থায় পড়ে ছিল নির্যাতিতা। পরে সঞ্জয় রাই নামের সিভিক ভলান্টিয়ার তাকে ধর্ষণ করে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে। এই তত্ত্বকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। যদিও এখনও পর্যন্ত অনেকগুলি জায়গা অস্পষ্ট রয়েছে।
মিসিং লিঙ্ক
আরজি করের নির্যাতিতার খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই মিসিংলিঙ্কের সন্ধান করতে শুরু করেছে। তাতেই রহস্যের সমাধান হবে বলেও মনে করেছেন তদন্তকারীরা।
২৪টি চিহ্ন
সিবিআই সূত্রের খবর আরজি করের নির্যাতিতার শরীরে ২৪টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তেমনই জানান হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্ট সম্পূর্ণ নয়। তাই রহস্য সমাধানে সমস্যা হচ্ছে।
গণপ্রহারের তত্ত্ব
একটি মেয়ের শরীরে ২৪টি আঘাতের চিহ্ন কম নয়! তাই সিবিআই গণপ্রহারের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে না। প্রাথমিক ধারনা, নির্যাতিতাতে এক বা একাধিক জন মিলে মারধর করেছিল। ব্যাপকহারে মারধর করা হয়েছে।
থাইরয়েড কার্টিলেজ জখম
সিবিআই-এর সূত্রের খবর, তরুণী চিকিৎসককে বারবার প্রবলভাবে গলা টিপে ধরা হয়েছিল। তাতেই নির্যাতিতার থাইরয়েড কার্টিলেজ জখম হয়েছিল। প্রবল বলপ্রয়োগের কারণেই মুখ আর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
চোখ আর মুখের ভিতরও রক্তপাত
ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার চোখ ও মুখের ভিরত রক্তপাত হয়েছে। তাতেই সিবিআই তদন্তকারীরা গণপ্রহারের তত্ত্ব উড়িয়ে দিতে পারছেন না। কারণ একজন মানুষের পক্ষে এভাবে মারধর করা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয় প্রশ্ন ক্রাইম সিন নিয়ে
সিবিআই সূত্রের খবর , যেভাবে নির্যাতিতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তার সঙ্গে ক্রাইম সিনের চরিত্রের কোনও মিল নেই। একটি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করা হলে ক্রাইম সিন অন্যরকম হওয়ার কথা। কিন্তু ক্রাইম সিন আভাস দিচ্ছে সেখানেই কিছুই হয়নি।
অন্যত্র মারধর?
এখনও পর্যন্ত সিবিআই-এর হাতে যা তথ্য রয়েছে তাতে অন্যত্র মারধর করে আধমরা অবস্থায় আরজি করের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হলে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্যাতিতাকে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অসম্পূর্ণ
আরজি করের নির্যাতিতার ময়না তদন্ত ও ফরেন্সিক রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তাই সিবিআই হাতে যা তথ্য পেয়েছে, সেই ছবি আর ভিডিওর সূত্র ধরেই তদন্ত করছে। সেই কারণে ধোঁয়াসা কাটাতে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা ময়নাতদন্ত, সুরতহাল ও ফরিন্সিক পরীক্ষা করেছে তাদেরও দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।