সংক্ষিপ্ত
পুলিশ প্রথম থেকেই কেসটি বন্ধ করার চেষ্টা করছে, তাই পোস্টমর্টেম করার আগে আমাদের লাশ দেখতে দেওয়া হয়নি। যখন লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তখন বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে গিয়েছে।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বুধবার ধর্মঘটে বসে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সাংবাদিকদের বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছেন তিলোত্তমার বাবা। তিনি বলেন, পুলিশ তাড়াহুড়ো করে তাঁর মেয়েকে দাহ করেছে কেন? কেন পুলিশ প্রথমে ফোন করে জানিয়েছে আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে? কেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে পোস্টমর্টেম করা হয়েছে?
তিলোত্তমার বাবা অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রথম থেকেই কেসটি বন্ধ করার চেষ্টা করছে, তাই পোস্টমর্টেম করার আগে আমাদের লাশ দেখতে দেওয়া হয়নি। যখন লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তখন বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে গিয়েছে। তিলোত্তমার মা বলেছেন, 'আমার এক মেয়েকে হারিয়েছি তার বদলে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে পেয়েছি। ওরা আমাদের রোজ খোঁজ খবর নেয়। ওরা আমাদের শক্ত করেছে।'
পুলিশের অমানবিক আচরণ
নিহতের এক আত্মীয় জানান, শেষকৃত্যের সময় পর্যন্ত সেখানে ৩০০-৪০০ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু এরপর যখন আমাদের মেয়ের মৃত্যুতে শোকাহত, তখন পুলিশ সদস্যরা আমাদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিল এটাই কি পুলিশের মানবতা? পুলিশ তাদের দায়িত্বও পালন করেনি এবং শেষকৃত্যের পরও পুলিশকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি
'রাত দখল করুন' মার্চ
বুধবারই কলকাতায় হাজার হাজার মহিলা নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার পেতে 'রিক্লেইম দ্য নাইট' নামে একটি পদযাত্রা করেছে। এই মিছিলের অধীনে, প্রতিবাদী ডাক্তাররা রাত ৯ টায় সব বাড়ির আলো নিভিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যার অধীনে লোকেরা তাদের বাড়ির বাতি নিভিয়ে এই মোমবাতি মিছিলে অংশ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালও এই অভিযানের অধীনে রাজভবনের আলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।