Sacked Teachers' Protest: রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ। বাইরে বেরিয়ে এসে কী জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা।
Sacked Teachers' Protest: বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) থেকে বেরিয়ে চাকরিহারারা বললেন, সেই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মূলত দুটি বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেছেন। প্রথমত যোগ্য এবং অযোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে হবে। সঙ্গে ওএমআর শিটের মিরর ইমেজও সামনে আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইনি প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে আলোচনা করতে হবে দ্রুত।

চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, “শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে এসএসসি চেয়ারম্যান বলেছেন, যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা তারা ইতিমধ্যেই তৈরি করতে শুরু করেছেন। আগামী রবিবারের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর আইনি পরামর্শ নিয়ে আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে তা প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করবেন তারা।”
কিন্তু সেইসঙ্গে, এও আবার জানানো হয়েছে যে, ওএমআর শিটের প্রকৃত মিরর ইমেজই নেই। যদি তা থাকত, তাহলে সিবিআই ঠিক তা খুঁজে পেত। কারণ, সিহিআইয়ের কাছে যে ডকুমেন্টগুলি আছে, সেগুলিই প্রকাশ্যে আনা হবে (Sacked Teachers' Protest)।
জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, মোট ২২ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের প্রতিলিপি প্রকাশ করা হবে এবং আগামী ২১ তারিখের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যর তালিকাও সামনে তুলে ধরা হবে। তবে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকের পর চাকরিহারারা জানিয়ে দিলেন, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও এখনই স্বস্তি পাচ্ছেন না তারা। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের দাবি আদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে এই আন্দোলন (Sacked Teachers' Movement)।
চাকরিহারাদের তরফ থেকে মেহেবুব মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, “এখনই আমাদের কোনও স্বস্তি নেই। স্বস্তি সেদিনই পাব, যেদিন আমরা আইনিভাবে জিতে ফিরব।”
এদিকে শুক্রবার, বিকাশ ভবনের ৬ তলায় চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। মোট ১২ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর সঙ্গে আলোচনা হয় তাঁর। অন্যদিকে, এদিন চাকরিহারাদের আন্দোলনকে সংহতি জানাতে এসএসসি দফতরের সামনে পৌঁছে গেছিলেন চিকিৎসকরাও।
তাদের সঙ্গে কথা বলেন ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ। উল্লেখ্য, আরজি কর আন্দোলনে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের তরফ থেকে বারবার সরব হয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তিনি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


