সংক্ষিপ্ত
আরজি কর কাণ্ডে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সিবিআই-এর (CBI) হাতে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাড়া করার নামে সরানো হত বিপুল অঙ্কের টাকা।
আরজি কর কাণ্ডে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সিবিআই-এর (CBI) হাতে। ডাক্তারি পড়ুয়াদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাড়া করার নামে সরানো হত বিপুল অঙ্কের টাকা।
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই-এর হাতে উঠে এসেছে এই তথ্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই দুর্নীতিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সরাসরি মদত ছিল বলে অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। এই বিষয়ে সন্দীপ তাঁর ঘনিষ্ঠদের কীভাবে কাজে লাগাতেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
একইসঙ্গে কাদের থেকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য সরঞ্জামগুলি ভাড়া নেওয়া হত, সেই বিষয়েও জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। সিবিআই-এর কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২ সালে এমবিবিএস কোর্সের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কাউন্সেলিং হয়। তার জন্য বেশকিছু জিনিস আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ভাড়া নেয়।
তার মধ্যে ছিল একাধিক সিসিটিভি, কম্পিউটার, ওয়াইফাই, সাউন্ড সিস্টেম, প্রোজেক্টর, টেবিলে এবং চেয়ার। এছাড়াও বাজেটের মধ্যে ছিল কাউন্সেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের খাবার এবং টিফিনের খরচ।
সন্দীপ ঘোষের অনুমতি নিয়েই এই জিনিসগুলি ভাড়া নেওয়া হবে বলে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। কিন্তু এইসবকিছুর জন্য ১৪ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয় বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। অথচ সূত্র মারফৎ সিবিআই-এর কাছে খবর, এই সরঞ্জামগুলি অনায়াসেই কিনতে পারত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অথচ সেগুলি না কিনে আধিকারিকরা ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।\
আরও পড়ুনঃ
'চাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ' রাজ্যকে ইমেইল জুনিয়র ডাক্তারদের
ফলে, যতবার কাউন্সেলিং হত, ততবারই এই টাকা দিয়ে সরঞ্জাম ভাড়া নিতে হত আরজি করের কর্তাদের। ভাড়া নেওয়া সরঞ্জামগুলি বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা এবং ফেরত পাঠানোর জন্য দুবার করে গাড়িভাড়া বাবদও বিপুল টাকা আলাদাভাবে বাজেটে রাখা হয়।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যে, প্রত্যেকবারই বিপুল পরিমাণ টাকা হাসপাতালের তহবিল থেকে যেত বিভিন্ন জায়গায়। সিবিআই-এর অভিযোগ, এই টাকার পরিমাণের একটি অংশ কমিশন হিসেবে নিতেন সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সাগরেদরা।
জানা যাচ্ছে, পেন ড্রাইভের ব্যাকআপের জন্য হাসপাতাল খরচ করত চার হাজার টাকা থেকে বারো হাজার টাকা পর্যন্ত। এমনকি, ওয়াইফাই এবং হাই স্পিড ইন্টারনেটের জন্য খরচ করা হয় ১৮ হাজার টাকা। এছাড়াও কম্পিউটারের প্রিন্টারের কালি বা টোনারের জন্য আরজি কর কর্তৃপক্ষ খরচ করে ৪৫ হাজার টাকা।
আবার সিবিআই জানতে পেরেছে যে, কাউন্সেলিংয়ের জন্য দুসপ্তাহের মধ্যে দুবার আলাদা দরে জায়েন্ট ক্রিন ভাড়া নেওয়া হয়। আর এইসব কিছুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন সন্দীপ বলেই অভিযোগ সিবিআই-এর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।