সংক্ষিপ্ত

Kolkata News: চাকরি খুঁইয়ে রাতের ঘুম হারিয়ে বসে আছেন এ রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিজেপি-তৃণমূল যে যার মতো রাস্তায় নেমেছে রাম-নবমীর শোভাযাত্রায়। রাজ্যজুড়ে রাম-নবমীর আবহ আর ঠিক সে সময় শহিদ মিনারের সামনে জমায়েত হয়েছেন চাকরিহারারা।         

Kolkata News: গোটা রাজ্যজুড়ে যখন পালিত হচ্ছে রাম-নবমী আর অন্যদিকে চাকরি খুঁইয়ে রাতের ঘুম হারিয়ে বসে আছেন এ রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। রবিবার বিজেপি-তৃণমূল যে যার মতো রাস্তায় নেমেছে রাম-নবমীর শোভাযাত্রায়। রাজ্যজুড়ে রাম-নবমীর আবহ আর ঠিক সে সময় শহিদ মিনারের সামনে জমায়েত হয়েছেন চাকরিহারা বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যে তিনি সোমবারই অর্থাৎ ৭ এপ্রিল চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

শীর্ষ আদালতের রায়ে রাতারাতি মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে চাকরিহারাদের, কারও মাথায় হয়ত মোটা অঙ্কের ঋণের বোঝা, কেউ বা ভাবছেন বাচ্চার পড়াশোনার খরচ এবার কোথা থেকে জোগাড় করবেন! সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাঁদের কাছে মৃত্যুর সমান। তাদের দাবি হাইকোর্টে তাঁদের সঙ্গে অবিচার হয়েছে। তারপর তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্থগিতাদেশ দেন সেই শুনানিতে। উনি বুঝেছিলেন এই প্যানেলে অনেক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী আছেন যাঁরা যোগ্য। আর অনেকেই অযোগ্য রয়েছেন।

চাকরিহারাদের দাবি, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলতে চেয়েছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নয়। প্রধান বিচারপতি থামিয়ে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন না। নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিক আছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান বিচারপতি আলোচনা করতে দেননি। অথারিটিকেও বলতে দেওয়া হল না। তাঁদেরকেও বলতে দেওয়া হয়নি। সেই সব বলতে না দিয়ে, এমনই বিষয়ের উপর রায় দিলেন যা আলোচনাই হল না কোর্টে।

এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তাঁরা আরও বলেন, ''মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হলেও তা একবছর, দু’বছর-ছ’বছর ধরে বিশ্লেষণ করে তারপর রায় দেওয়া হয়। আর এই মৃত্যুদণ্ডে তো কোনও কিছু খতিয়ে দেখায় হল না। আরও অনেক তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে দেখা যেতে পারত। আমরা অবশ্যই রিভিউতে যাব। সরকার থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে বলছি, আপনারা রাস্তা বের করে না দিলে বিধানসভা নির্বাচনে কাউকে লড়তে দেব না।''

সদ্য চাকরিহারারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ''আমাদের লাশের উপর দিয়ে লড়তে হবে। ফাঁকা কথার কারসাজি আর নয়। নিজেদের মারতে রাজি আছি। কারণ আমরা মরে গিয়েছি। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য জামিন পেলেন। অথচ আমাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল।''

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।