মনোজিতের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল ধর্ষণ করেনি। যদিও তিনি তাঁর দাবির পিছনে একাধিক যুক্তি খাড়া করছেন। সত্যে বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী মনোজিতের বাবা।
কসবা আইন কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণ করেনি মনোজিৎ মিশ্র। তেমনই দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও কলেজ ক্যাম্পাসে উঠছে অন্য দাবি। মনোজিতের দাদাগিরিতে অতিষ্ট কসবা আইন কলেজের পড়ুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি মনোজিতের বিকৃতকামের কথাও সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পস্থিতিতে মনোজিতের আইনজীবী সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেছেন। যদিও তিনি তাঁর দাবির পিছনে একাধিক যুক্তি খাড়া করছেন। সত্যে বেরিয়ে আসবে বলে আশাবাদী মনোজিতের বাবা।
মনোজিতের আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'এটা একটা ষড়যন্ত্র। মনোজিৎকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।' তিনি বলেন, মনোজিতের ঘাড়ে লাভ বাইট পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতনের কোনও ভিডিও নেই। প্রসিকিউশন সব কিছু লোকাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, 'নির্যতনের কোনও ভিডিও নেই। লাভ বাইট গলায় থাকলে কী করে ভিডিও থাকতে পারে!' মোটের ওপর আইনজীবী গোটা ঘটনার দায় নির্যাতিতার ওপর চাপাতেই মরিয়া চেষ্টা করছেন।
আইনজীবী আরও প্রশ্ন তুলেছেন, নির্যাতিতার ফোন সিজ করা হয়েছে কিনা? তিনি বলেন, নির্যাতিতার ফোন খতিয়ে দেখতে তিনি বিচারকের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। নির্যাতিতা মিথ্যা কথা বলছে বলেও অভিযোগ অভিযুক্তের আইনজীবীর। তিনি আরও বলেন, 'একটা ঘটনা ঘটেছে রাত সাড়ে দশটায়। পরের দিন ৪টে ৪৫ মিনিটে উনি অভিযোগ করেন। আশা করি তারও পরে তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। একটা মহিলা ওই সময়ে একবারও ওয়াশরুমে যাননি বা ক্লিন করেননি?' সবমিলিয়ে আইনজীবী স্পষ্ট করে জনান তাঁর মক্কেল ধর্ষণ করেনি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বাবা জানিয়েছেন, 'বিষয়টি বিচারাধীন। তদন্ত চলছে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি যে বিচার বিভাগের ওপর আমার আস্থা আছে। আদালত পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবে।' তিনি আরো বলেন, তিনি রাজ্য সরকার, পুলিশ, প্রশাসনের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন। তিনি বলেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার মামলার হয়েছে এমনটাই লোকে বলেছেন। তারপরই তিনি প্রশ্ন করেন, 'তাহলে কেন তাঁকে তখন গ্রেফতার করা হয়নি? আমি নিশ্চিত সত্য বেরিয়ে আসবে।'


