মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ মামলার শুনানি হয়। সেখানেই সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি দাবি করেল, প্রাথমিক তদন্তে জানা যে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পরে চাকরি পেতে ঘুষ দিয়েছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী।
অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপারনিউমেরারি পদে নিয়োগের জন্য ঘুষ দিতে হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই। একই সঙ্গে সিবিআই জানিয়েছে, আদালত অনুমতি দিলে এই বিষয়ে তারা তদন্ত করবে । সিবিআই আরও বলেছে, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগে যে টাকার লেনদেন হয়েছে সেই প্রমাণ তারা পেয়েছে।
মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ মামলার শুনানি হয়। সেখানেই সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি দাবি করেল, প্রাথমিক তদন্তে জানা যে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির পরে চাকরি পেতে ঘুষ দিয়েছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। এমন কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। সিবিআই-এর কাছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চার, কোন বিষয়ে কতগুলি পদে নিয়োগ রয়েছে। উত্তরে সিবিআই আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষে নির্দিষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ তদন্ত দরুরি। তারা নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে চায়।
হাই কোর্টে সিবিআই এ-ও জানায় যে, এফআইআর দায়েরের অনুমতি রাজ্য দেয়নি। আদালতের অনুমতি পেলে তদন্ত শুরু করা হবে। তারা আরও জানায়, নিয়োগ দুর্নীতির মামলা একটি অপরটির সঙ্গে যুক্ত। আদালতের নির্দেশে অন্য দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করেছে। এ ক্ষেত্রেও আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। বিচারপতি বসু জানান, এই বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির দরকার রয়েছে। আগামী ৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এসএসসির কর্মশিক্ষা ও শরীর শিক্ষায় চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু কোন নথিতে সিবিআই এমন তথ্য পেয়েছে? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠেছিল এসএসসি কর্মশিক্ষা আর শরীর শিক্ষার চাকরি বিক্রি সংক্রান্ত মামলটি। সেই মামলাতেই সিবিআই এদিন এই কথা জানিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে সিবিআইকে তাদের অবস্থান ও এসএসসিকে মেধা তালিকা পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষায় সিবিআই তদন্তের বিষয়ে ও ওএমআর শিট প্রকশের দাবি জানিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটেও উচ্চ প্রাথমিকের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। সেই চার্জশিটেও সিবিআই দাবি করেছিল কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ সিবিআইয়ের চার্জশিটে কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষায় চাকরি বিক্রির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘উচ্চপ্রাথমিকে কোনও সিবিআই তদন্ত নেই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে দাবি করেছে টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায়। সিবিআই নিশ্চিত তদন্ত করতে গিয়ে এমন কিছু নথি বা তথ্য পেয়েছে তার ভিত্তিতে এমন চার্জশিট দিয়েছে। তদন্তের এই প্রক্রিয়া এবং নথি, তথ্য আদালত জানতে চায়।’’


