সংক্ষিপ্ত

বিরোধী দলনেতার সঙ্গে এক মিছিলে পা মেলালেন কৌস্তুভ। ফলে সমীকরণ কোথাও যেন একটা মিলে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

'অরাজনৈতিক' মিছিল। সেই মিছিলে একসঙ্গে দেখা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীকে। বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে থেকে মিছিল করেন চাকরি প্রার্থীরা। সেই মিছিলেই একসঙ্গে দেখা যায় শুভেন্দু ও কৌস্তুভকে। তাদের দুজনের একসঙ্গে হাঁটা নিয়ে বেশ জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ গত কয়েকদিন আগে বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকার প্রশংসা করেন কৌস্তুভ বাগচী। তাহলে এবার পরবর্তী গন্তব্য বিজেপি? এই প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি কোনও উত্তর দেননি কৌস্তুভ।

আর তাই চাকরি প্রার্থীদের মিছিলে এই দুজনের যোগদান বঙ্গ রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও কৌস্তুভ জানিয়েছেন, এটা একটা অরাজনৈতিক মিছিল। আর সেই কারনে তাঁর আসা। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এক মিছিলে হাঁটা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতার দাবি, দেখুন না কি হয়। এর আগে, নাম না করে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকে আক্রমণ করেন কৌস্তুভ। কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্য ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। আর এরপরেই বিরোধী দলনেতার সঙ্গে এক মিছিলে পা মেলালেন কৌস্তুভ। ফলে সমীকরণ কোথাও যেন একটা মিলে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

 

এদিকে, বুধবার সকাল থেকেই গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা ক্যামাক স্ট্রিটে এসে জমায়েত করতে শুরু করেন। ক্যামাক স্ট্রিট থিয়েটার রোডের সংযোগস্থল থেকে শুরু হয় এই মিছিল। একেবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে থেকে যায় এই মিছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরেই আজকেই মিছিল হয়। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের মিছিল নৈতিক জয় হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তবে বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তাঁদের দাবি, চাকরি প্রার্থীদের বিষয়টিকে মানবিক ভাবে সরকার দেখছে। সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে বুধবার চাকরি প্রার্থীদের মিছিল একটি ব্যারিকেড করে বার করে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশের এহেন আচরণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পুলিশ ছাড়া মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা একেবারে বিগ জিরো। আর এটাই বড় প্রমাণ। পাশাপাশি চাকরি প্রার্থীদের একজোট হওয়ার বার্তা দেন বিরোধী দলনেতা। আর লড়াই করে অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ারও ডাক দেন তিনি।