সংক্ষিপ্ত

২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর, পথে নামেন SLST চাকরিজীবীরা। 

সরকারের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন তারা। আর বৃহস্পতিবার, এসএলএসটি শিক্ষকরা ময়দান চত্বরে জমায়েত করেন। তারা কালীঘাটের দিকে অভিযানে শুরু করার সময় পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে দেয়। ধস্তাধস্তি চলে শিক্ষকদের সঙ্গে এবং টেনে-হিঁচড়ে তাদের পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।

এর আগেও একাধিকবার হবু শিক্ষক-শিক্ষিকারা বারবার রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানায় যে, যোগ্য-অযোগ্য পৃথক করতে। কিন্তু আদালতে এখনও অবধি সরকারের তরফ থেকে কোনওরকম সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। ফের এই দাবিতেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাতে কালীঘাট অভিযান শুরু করেন ২০১৬-সালের শিক্ষকরা।

যোগ্য অযোগ্য পৃথক না করলে কর্মরত যোগ্য শিক্ষকরাও চাকরি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ দেখছে। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলছেন, অবৈধভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, তারা আসলে সরকারকে হুমকি দিয়েছে। বলেছে তাদের চাকরি যদি চলে যায়, তাহলে তারা যাকে যাকে বান্ডিল দিয়েছে সব ফাঁস করে দেবে। সরকার সেই আশঙ্কাতেই তাদের চাকরি বহাল রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ করছেন তারা।

তাদের কথায়, “নাহলে বৈধ এবং অবৈধ সবাইকে নিয়ে ডুববে কেন? থাকলে সবাই থাকুক নাহলে সবাই চলে যাক। তাই আমরা আজ কালীঘাট অভিযানের জন্য ময়দানে সমবেত হয়েছিলাম। সেখানে আমাদের একটা দলকে হেস্টিংস থানায় তুলে নিয়ে এসেছে। ওখানে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে, তাদের সঠিক তালিকার হিসেবটা একবার মিলিয়ে দেখুক। তারপর ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে জানাক সেটা। এটাই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে তাদের কালীঘাট অভিযান বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব।

কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে তাদের আটকে দেওয়া হয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।