সংক্ষিপ্ত
ফুঁসে ওঠে গোটা রাজ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে ওঠে সৌরভের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার দিয়ে। অনেকেই সৌরভকে এই মুহূর্তে বাংলার আইকন মানতে নারাজ। অনেকেই কটাক্ষের ছলে বলে দিয়েছেন, গ্রেগ চ্যাপেল ঠিক-ই চিনেছিলেন স্বার্থপর সৌরভকে।
আরজি করের পাশবিক নারকীয় ধর্ষণ নিয়ে যখন গোটা দেশ ফুঁসছে, তেমন আবহে পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ দাগিয়ে গোটা ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দিয়েছিলেন। এরপরেই রীতিমত বিপাকে পড়লেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ বলেছিলেন 'এটা ভীষণ ভুল। এটা ঠিক নয়। সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সিসিটিভি লাগাতে হবে। তবে এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ভারত একটা দারুণ দেশ, সেটা পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য কোনও রাজ্য হোক। বেশ ভালো শহরে, ভালো রাজ্যে আমরা বাস করি। একটা ঘটনা দিয়ে গোটা ব্যবস্থার বিচার করা উচিত নয়। তবে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতাল, রাস্তায় সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি বাড়াতে হবে।'
এরপরেই ফুঁসে ওঠে গোটা রাজ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে ওঠে সৌরভের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার দিয়ে। অনেকেই সৌরভকে এই মুহূর্তে বাংলার আইকন মানতে নারাজ। অনেকেই কটাক্ষের ছলে বলে দিয়েছেন, গ্রেগ চ্যাপেল ঠিক-ই চিনেছিলেন স্বার্থপর সৌরভকে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে দহরম-মহরমের জেরেই সৌরভ এমনভাবে গোটা ইস্যুকে লঘু করতে চাইছেন, এমন অভিযোগ চলে এসেছে।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে দখলের মিছিলে পা মেলানোর ফাঁকে এক প্রচারমাধ্যমে তিনি বলেছেন, 'সরি টু সে সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ আমি সত্যিই দুঃখিত যে, তোমাকে মানুষ যেভাবে, তোমার দাদাগিরি, তোমার ক্রিকেট, তোমাকে মহারাজা, মানুষ তোমাকে যে আসনে বসিয়েছেন। তুমি এটাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলছো। যে মানুষগুলোকে আমরা উপরে রেখেছি, তাঁরা মানুষ বলার যোগ্য নয়। তাঁদের টেনে নামিয়ে আনো নীচে।'
অনেকেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঞ্চালিত জি বাংলায় কুইজ অনুষ্ঠানের বয়কটের বিষয়ে সরাসরি ঘোষণা করেছেন। এমনিতেই গত আইপিএল চলাকালীন দাদাগিরির টিআরপি তলানিতে ঠেকেছিল। এমন আবহে দর্শকরা যদি জনপ্রিয় এই রিয়েলিটি শো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, তাহলে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।