৭০ কিমি বেগে হবে ঝড়, সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি! আর কতদিন এই বিপর্যয় চলবে রাজ্যে?
- FB
- TW
- Linkdin
টানা বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নদনদী ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই গভীর নিম্নচাপের দাপট কবে কমবে, তাই এখন ভাবাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গবাসীদের। কেননা দুদিন পরেই রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজো।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে গভীর নিম্নচাপ নিয়ে যে আপডেট দেওয়া হয়েছে, সেই আপডেট থেকে জানা যাচ্ছে, খুব ধীর গতিতে নিম্নচাপটি পশ্চিমের দিকে এগিয়ে চলার কারণে এর প্রভাব চরম রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।
এই গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার বঙ্গোপসাগর লাগোয়া বাংলাদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার, দমকা হওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।
১৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার এই দমকা হওয়ার গতিবেগ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগর লাগোয়া উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় রবিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা হওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটারে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার থেকেই এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং রবিবারও এমন পরিস্থিতি চলবে বলে জানানো হয়েছে।
পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে রবিবার পর্যন্ত লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। এই সকল জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার, কোন কোন জায়গায় আবার তার থেকেও বেশি বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে।
একইভাবে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের দিকে তাকিয়ে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
রবিবারের পর সোমবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার আবহাওয়ার অবস্থার উন্নতি হবে বলেই পূর্বাভাসে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে একেবারেই যে বৃষ্টি কমে যাবে তা নয়।
সোমবার হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে কেবলমাত্র ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলার জন্য। বাকি কোন জেলার জন্য কোনো রকম সতর্কতা জারি না হওয়ার কারণে আবহাওয়া উন্নতি লক্ষ্য করা যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সেই ভাবে ভারী অথবা অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলার জন্য।