শুক্রবার রত্না আর শোভনের বিবাহবিচ্ছেদ মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে।
বৈশাখ আসার আগেই কী সুখবর আসবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য? শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সেই প্রশ্ন তুলে দিল। কারণ রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়ার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন কারিজ করে দেয় আদালত। সঙ্গে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে এই সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
শুক্রবার রত্না আর শোভনের বিবাহবিচ্ছেদ মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রত্না। তাতেই শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই নিম্ম আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন। আর অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।
২০১৭ সালেই বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আলিপুর আদালতে মামলা করেছিলেন শোভন। রত্না জানান তাঁর তরফে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়বি। তার আগেই নিম্ন আদালত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে শোভন নিজের পক্ষে সাক্ষীদের সাজাতে পর্যাপ্ত সময় পেয়েছেন। রত্নার তরফে সবমিলিয়ে ৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিল। রত্নার দাবি আরও কয়েকজন সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু তাদের বয়ান নেওয়া হয়নি। সংশ্লিষ্টদের বয়ান নেওয়ার জন্য আলিবপুর আদালতে আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় আদালত। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রত্না। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টে শোভেনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল ছাড়ার পরে বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন। যদিও গত বিধানসভা ভোটের অব্যবহিত পরেই পদ্মশিবিরের সঙ্গে সখ্য ঘুচে যায় শোভনের। তার পর থেকে তিনি রাজনীতি ছাড়াই আছেন। তবে মমতার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখনও অটুট। অনেকেই মনে করছেন সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শোভন বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে আবারও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। যদিও শোভন বা বৈশাখী এখনও এই বিষয়ে কিছুই জানাননি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
