সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন । ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন-পর্ব ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি, রক্তপাত, বোমাবাজি, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই আবহে রাজ্যের সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন । ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে লাগাতার আইনি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। তবে, কোথাও কোনও সুরাহা পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। এরপর বুধবার বাহিনী নিয়ে কমিশনকে কার্যত গাইডলাইন বেঁধে দেয় হাইকোর্ট।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ১৫ জুনের সেই নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনী-বিরোধিতার আবেদন। আদালতের চাপের মুখে অবশেষে আরও ৮০০ কোম্পানি চাইতে বাধ্য হল কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়ে মুখরক্ষায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল কমিশন। এরপরেই হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যে অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে আনতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় '২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলায় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে কমিশনকে। একাধিক দফায় হয়েছিল ২০১৩-র ভোট, এবার তো একদফায় ভোট।' রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'কোর্টের নির্দেশ কার্যকর না করতে সব পদক্ষেপ করছে কমিশন। ২০১৩-য় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য এই কমিশন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল। আমরা বুঝতে পারছি না সেই কমিশনের স্বতন্ত্রতার কী হল?' কোর্টের নির্দেশ ছিল গোটা নির্বাচন পর্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা কমিশনের উপরেই মূল্যায়নের ভার ছেড়েছিলাম। ১৭০০ না ৮ লক্ষ বাহিনী-সেটা ঠিক করা কী আদালতের কাজ? প্রাথমিকভাবে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী অপর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে। মানুষ প্রশাসনের উপর আস্থা হারালে ভোট করে লাভ কী? আমাদের কি কমিশনের নিরপেক্ষতায় সন্দেহ করা উচিত?'’
২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় ছিল ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২০২৩-এ লাগাতার অশান্তির পরেও মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন এত কম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। এরপরেই বৃহস্পতিবার ভোল বদলে ফেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে চাওয়া হয় আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী।