সংক্ষিপ্ত

আচমকাবজ্রপাত এবং বৃষ্টির জেরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে বেশ সমস্যায় পড়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। 

আচমকা বজ্রপাত এবং বৃষ্টির জেরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে বেশ সমস্যায় পড়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। আপাতত ত্রিপল খাটিয়ে অস্থায়ীভাবে সেখানে থাকছেন সাতজন অনশনকারী। তাদের সঙ্গে অনশনমঞ্চের কাছেই জমায়েত করেছেন অন্যান্য জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তাররা।

হটাৎই আকাশ কালো করে বৃষ্টি এবং সঙ্গে বজ্রপাত শুরু কলকাতায়। কোথাও আবার ঝড়ও উঠেছে। আবার কোথাও শুরু হয়ে গেছে মুষলধারে বৃষ্টি। দুর্গাপুজোতে সেইভাবে বৃষ্টি না হলেও, লক্ষ্মীপুজোর বিকেলে ঝড়-বৃষ্টিতে নতুন করে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছাকাছি নতুন করে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। তবে নিম্নচাপ রয়েছে অনেকটা দূরের সমুদ্রে। কিন্তু এদিকে আচমকা ঝড়-বৃষ্টিতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে বেশ সমস্যায় পড়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। ত্রিপল খাটিয়ে অস্থায়ীভাবে সেখানে থাকছেন মোট সাতজন অনশনকারী।

তাদের সঙ্গে অনশনমঞ্চের কাছেই জমায়েত করেছেন অন্যান্য জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু দমকা হাওয়া এবং মুষলধারে বৃষ্টিতে এলোমেলো হয়ে গেছে সেইসব অস্থায়ী ব্যবস্থা।

বুধবার বিকেলের এই হটাৎ বৃষ্টিতে অনশনমঞ্চের ত্রিপল কোথাও কোথাও ফুটো হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে অনশনকারীদের বিছানায়। কিন্তু সেই বৃষ্টির মধ্যেই ত্রিপল মেরামতের চেষ্টা করেছেন অনেকে। সেইসঙ্গে, অনশনমঞ্চ থেকে উঠছে স্লোগান। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর, অনশনমঞ্চের আলো এবং পাখা নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। জল থেকে যাতে শর্ট সার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

এমনিতে, বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরতলির একাধিক এলাকায় মুখ ভার ছিল আকাশের। কালো মেঘের ঘনঘটা তৈরি হয় বারবার। আর বিকেলের দিকে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে ধর্মতলা এবং বরানগর সহ বিভিন্ন প্রান্তে।

সেইসঙ্গে, শুরু হয় বজ্রপাত। ভবানীপুরের দিকে বিকেলে আকাশ কালো করে ঝড় উঠেছিল। এরপর বৃষ্টিও শুরু হয়।

কিন্তু সবকিছুকে কার্যত, তুড়ি মেতে উড়িয়ে বৃষ্টির মধ্যেই স্লোগান দিতে শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেইসঙ্গেই চলতে থাকে ত্রিপল মেরামতির কাজ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।