সংক্ষিপ্ত

পুলিশ সূত্রের খবর স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদীপের।

 

ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ছেলে আত্মহত্যা করেনি। স্বপ্নদীপ আত্নহত্যা করেনি। ছেলের মৃত্যুর একদিন পরেই খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে নিহত ছাত্রের বাবা নির্দিষ্ট কারও নামে অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছ কিন্তু কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র স্বপ্নদীবের বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডুর সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগ তাঁর ছেলে ব়্যাগিংএর শিকার। পুলিশ সূত্রের খবর তিনি ব়্যাগিংএর কথাও বলেছেন অভিযোগে। কারণ স্বপ্নদীপ তাঁর মাকে ফোন করে বলেছিলেন, তাঁর খুব ভয় করেছে। তবে কি নিয়ে তাঁর ভয় করছে তা অবশ্য জানাননি। সেই কারণে কুণ্ডু পরিবারের মধ্যে ব়্যাগিংএর সম্ভবনা দাঁনা বাঁধছে। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নদীপের বাবাকে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদীপের। তাঁর মাথার বাঁ দিকের হাড়ে চিড় ধরেছে। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। বাঁ দিকের পাঁজরের হাড়ও ভেঙেছে। শরীরের ভিরতের আঘাত ছিল গুরুতরয ভেঙে দিয়েছিল কোমরও। সূত্রের খবর স্বপ্নদীপের শরীরে মদ্যপানের কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। সাধারণ খাবার খেয়েছে বলেও জানা গেছে।

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিজেপির ভিডিও ভাইরাল, রাহুল ও কংগ্রেসকে ঠাট্টা করে গুরুত্ব মোদীকে

নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ। মাত্র দুই দিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। বুধবার রাতে মেন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যায়। দ্রুত উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপের। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোস্টেলের নিচে ছিলেন। ভারী কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতে পান। ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তখনই দেখতে পান স্বপ্নদীপ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেখানে প্রচুর ছাত্র উপস্থিত হয়। তারা সকলে মিলে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।

হোস্টেলের রুমে বসে 'ফূর্তির' সাজা! মাছ-মাংস আর মদ খেয়ে বহিষ্কার PhD-র ছাত্র

তবে ছাত্রটি হোস্টেলের বারান্দা থেকে কী করে পড়ে গিয়েছিল তাই নিয়ে রীতিমত ধ্বন্দ্বে পুলিশ। কারণ হোস্টেলের বারান্দা থেকে কী করে পড়ে গেল তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। স্বপ্নদীপকে কেউ ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে তা সে আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে স্বপ্নদীপ প্রথম দিনের ক্লাসে উপস্থিতি না থাকার কারণও সন্ধান করেছে তদন্তকারীরা। সারা দিন কোথায় ছিল কাদের সঙ্গে ছিল তাও খতিয়ে দেখছে। স্বপ্নদীপ ব়্যাগিংএর স্বীকার কিনা তাও দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। কথা বলছে মৃতের সহপাঠীদের সঙ্গে। আবাসিকদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে ক্লাস শুরুর প্রথম দিনেই এই স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

Breaking News: বৌবাজারের রাসায়নিক গুদামে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী