সংক্ষিপ্ত

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে বাঙালি। অস্ট্রেলিয়াতেও বাঙালির সংখ্যা কম নয়। সিডনির মলে হামলার সময়ও সেখানে ছিলেন একাধিক বাঙালি। তবে তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি।

শনিবার সিডনির ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টারে ছুরি হামলার সময় সেখানেই ছিলেন কলকাতার দম্পতি সৈরিন্ধ্রী ঘোষাল ও দেবাশিস চক্রবর্তী। তাঁরা কার্ডবোর্ড বক্সে লুকিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। চোখের সামনে ৬ জনকে ছুরি হামলায় প্রাণ হারাতে দেখেছেন। এই বাঙালি দম্পতিও ছুরির আঘাত পেতে পারতেন। অল্পের জন্য তাঁদের প্রাণরক্ষা হয়। এখনও এই ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা। মাঝেমধ্যেই শিউড়ে উঠছেন সৈরিন্ধ্রী ও দেবাশিস। তাঁরা এর আগে কোনওদিন চোখের সামনে জঙ্গি হামলা, গুলি চালানো, এত মানুষের আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি, চিৎকার দেখেননি। এই কারণে সিডনি মলের ঘটনা তাঁদের কাছে আতঙ্কের।

ঘোরের মধ্যে সৈরিন্ধ্রীরা

সৈরিন্ধ্রী জানিয়েছেন, 'আমরা যে সময় লুকিয়েছিলাম, সেই সময় যে কীভাবে কেটেছে, সেটা বলে বোঝাতে পারব না। অনেক লোক একসঙ্গে যখন ছুটে একটা দোকানে লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন আমাদের মনে হয়েছিল, ওদের সঙ্গেই লুকিয়ে পড়ি। প্রথমে তো বুঝতেই পারিনি কী হচ্ছে। আমরা মলের পিছনের দিকে যাচ্ছিলাম। সেই সময় হঠাৎ শুনতে পাই, একটা লোক ছুরি নিয়ে সবাইকে আক্রমণ করছে। আমরা সেই সময় দোকানের বাইরে ছিলাম। সেখানে থাকা বাকিদের সঙ্গে দোকানে ঢুকে পড়ি। দোকানের কর্মীরা আমাদের লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেন। পুলিশ না আসা পর্যন্ত লুকিয়ে থাকাই আমাদের লক্ষ্য ছিল।'

আতঙ্কিত সৈরিন্ধ্রী-দেবাশিসের পরিজনরা

কলকাতায় সৈরিন্ধ্রী ও দেবাশিসের আত্মীয়, বন্ধুরা আছেন। সিডনির মলে হামলার খবর পেয়েই তাঁরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এই দম্পতি ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টার থেকে নিরাপদে বেরনোর পর আত্মীয়-বন্ধুদের খবর দেন। ফলে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তবে এই ঘটনার রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে। মন থেকে কিছুতেই এই ঘটনা দূর করতে পারছেন না সৈরিন্ধ্রী ও দেবাশিস।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

সিডনি মলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় তীব্র আতঙ্ক, বহু মানুষের মৃত্যুর খবর

অজানা আততায়ীর ছুরির হামলা, একাধিক জখমে ত্রস্ত বার্মিংহাম উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রিটিশ পুলিশের

লন্ডন ব্রিজে ছুরি নিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা, পুলিশের গুলিতে আততায়ীর মৃত্যু