ট্যাংরায় দে পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে শ্বাসরোধের ইঙ্গিত, নাবালিকার মৃত্যু সুনিশ্চিত করতেই কি শ্বাসরোধ? এদিকে জীবিত তিন সদস্যের হাসপাতাল বিল নিয়ে জটিলতা, নাবালকের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত।
ট্যাংরা কাণ্ডে আত্মহত্যা নয়, হত্যা করা হয়েছিল- সেদিকেি ইঙ্গিত দিচ্ছে সকল তথ্য প্রমাণ। সদ্য় মিলল পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে নাবালিকার মৃত্যু বা খুনে Medichanical Asphuxia অর্থাৎ শ্বাসরোধের ইঙ্গিত আছে। শ্বাসরোধ করা হয়েছিল প্রিয়ম্বদাকে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তা বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু বলে মনে করা হয়। তাহলে কি মৃত্যু সুনিশ্চিত করতেই শ্বাসরোধ করা হয়েছিল? পুলিশ জানতে মরিয়া।
এদিকে ট্যাংরা কাণ্ডে জীবিত আছে দে পরিবারের তিন সদস্য। দুর্ঘটনার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই বেসরকারি হাসপাতালেও বিল নিয়ে চলছে জটিলতা। তাদের কয়েক লক্ষ টাকা বিল হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কেউ মেটাতে রাজি নয়। এরই সঙ্গে নাবালককে কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। তাঁদের একমাত্রা আত্নীয় আছে ছেলে টির। তা হল তাঁর মামা মামী। কিন্তু তারা বাচ্চাটিকে নেবে না বলে জানিয়েছ। আপাতত হোমে থাকার কথা চলছে আপাতত।
গত বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অতুল শূর রোডের দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ মহিলা ও ১ নাবালিকার দেহ। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনা আত্মহত্যা বলেই দাবি করে বাড়ির দুই ছেলে। তদন্ত শুরু হলে জানান যায়, পায়েসে ঘুমের ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে পরে শিরা করে খুন করা হয়। এমনকী, নাবালিকার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছি। পরের দিন দে বাড়ির দুই ছেলে প্রণয় ও প্রসূন এবং প্রসূনের ছেলে- এই তিনজনকে ইএম বাইপাসের ওপর একটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধা করে পুলিশ। এর পরই সামনে আসে এই তথ্য। বিপুল পরিমাণ দেনার কারণেই নাকি সপরিবারে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তারা, জানা যায় এমনটাই।
এখনও চলছে তদন্ত। ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় কোনও সত্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ।
