সংক্ষিপ্ত
বড়সড় তথ্য সামনে আনল সিবিআই (CBI)। আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
গত ৯ আগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) চারতলার সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন তিনি। ৮ আগস্ট রাতে হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে ঠিক কী ঘটেছিল? এখন এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছে সকলে। চিকিৎসক ধর্ষণ, খুনের ঘটনার রহস্যভেদ করতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
এবার আরও বড়সড় তথ্য সামনে আনল সিবিআই (CBI)। আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। তিলোত্তমা হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে এবার সিবিআই-এর নজরে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুই প্রভাবশালী নেতা। এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর ঘটনার দিন (৯ অগস্ট) বিকেল ৪টের পরে এক তৃণমূল বিধায়কের মোবাইলে এক সাংসদের ফোন আসে। সেই ফোন পাওয়ার পর ওই বিধায়ক আর এক কাউন্সিলর এবং ওই এলাকার একাধিক রাজনৈতিক কর্মীকে ফোন করেন। সেই নেতা নির্যাতিতার পরিবার পরিজন এবং পরিচিত সহকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যতক্ষণ না চিকিৎসকের মৃতদেহ দাহ হয় ততক্ষন পর্যন্ত নাকি বিধায়কের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন শ্মশানের আশপাশেই ছিল।
গোটা রহস্যের কিনারা করতে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। মেয়েকে দাহ করার সময় কারা শ্মশানে ছিল সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিলোত্তমার পরিবারকেও। ঘটনাস্থলে সেদিন যারা যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের তালিকা তৈরি করে নাম ধরে ধরে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার সিবিআই স্ক্যানারে তৃণমূলের ২ ‘হেভিওয়েট’ নেতা। একজন বিধায়ক এবং একজন কাউন্সিলর। রিপোর্ট অনুযায়ী তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ তড়িঘড়ি দাহের নেপথ্যে ছিল এই দুই নেতার হাত। মৃতার পরিবার তরফে বারংবার দাবি করা হয়েছে, মেয়ের দেহ পোড়ানোর জন্য তাড়াহুড়ো করেছিল পুলিশ। এবার যাতে দ্বিতীয়বার দেহ ময়নাদন্ত না করা হয়, তার জন্যেই কী দুই তৃণমূল নেতারও তৎপরতা ছিল? ঘেঁটে দেখছে সিবিআই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।