সংক্ষিপ্ত

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে জানা যায় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ১৮-২০ ঘন্টা আগেই খুন করা হয় ওই মহিলাকে। তারপর কাটা হয় হাত-পা। কিন্তু এখনও উদ্ধার হয়নি পেটের পুরো অংশ এবং পায়ের আঙ্গুলগুলি

 

Watganj Recover Body identified: মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার ওয়াটগঞ্জ এলাকার সত্য ডক্টর লেনের পরিত্যক্ত স্থানে ৩০-৩৫ বছর বয়সী এক মহিলার দেহের টুকরো টুকরো অংশ পাওয়া যায়। বুধবার পুলিশ সেই মৃতদেহ সনাক্ত করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর অনুসারে ওই মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। দিন তিনেক আগেই বাড়ি থেকে নিঁখোজ ছিলেন তিনি। লাশ উদ্ধারের পর মুখের অংশ দেখে সনাক্ত করা হয় মহিলার পরিচয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে জানা যায় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ১৮-২০ ঘন্টা আগেই খুন করা হয় ওই মহিলাকে। তারপর কাটা হয় হাত-পা। কিন্তু এখনও উদ্ধার হয়নি পেটের পুরো অংশ এবং পায়ের আঙ্গুলগুলি

মৃত মহিলার মাথায় ছিল সিঁদুর ও টিপ লাগানো ছিল। তাতে বোঝা গিয়েছিল মহিলা বিবাহিত। পুলিশ তার স্বামীর খোঁজ করছেন। আরও জানা গিয়েছে যে মহিলাকে খুন করার পর তার মাথা প্লাটিকে মুড়ে কংক্রিটের সঙ্গে আটকে জলে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল।

পুলিশ কীভাবে তথ্য পেল?

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওয়াটগঞ্জ থানায় পৌঁছান এক যুবক। তিনি জানান, বিকেলে তিনি ওই খালি জমিতে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি তিনটি কালো পলিথিনের প্যাকেট দেখতে পান। যা থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন, পুলিশ এসে ওই পলিথিন খুললে ভেতরে একজন নারীর কাটা মাথা দেখতে পান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাকি দুটি পলিথিন খুললে একটি থেকে ওই নারীর ধড় ও অপরটি পলিথিন থেকে ওই নারীর পা পাওয়া যায়।

চরম ক্ষোভে খুনের সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে নৃশংসতার সঙ্গে মহিলাকে খুন করা হয়েছে এবং তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে কেউ রাগের বশে তাঁকে খুন করেছে। যে পলিথিনে মাথা পাওয়া ইটগুলো থেকে বোঝা যায় লাশ নদীতে বা চামড়ায় ফেলার পরিকল্পনা ছিল। তবে কোনও কারণে সেটি খালি জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরায় পাওয়া ছবি স্ক্যান করে খুনিকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।