সংক্ষিপ্ত

অবসরের আগেই ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ। এবার লোকসভা ভোটেও লড়ছেন তিনি। এরই মাঝে সোমবার অবসরের দিনে এই হাইকোর্টেরই অপর এক বিচারপতির কথায় শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা।

বিচারপতির পদ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই পথেই কি পা বাড়াতে চলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের আরেক বিচারপতি! সবার সামনে নিজের সম্পর্কে এক চরম সত্যি কথা প্রকাশ করলেন বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ। যা শুনে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে।

অবসরের আগেই ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ। এবার লোকসভা ভোটেও লড়ছেন তিনি। এরই মাঝে সোমবার অবসরের দিনে এই হাইকোর্টেরই অপর এক বিচারপতির কথায় শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। এদিন চিত্তরঞ্জন দাশ বলেন “আজ অবসরের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি নিজের জীবনের সত্যিটা প্রকাশ করতে চাই। আমি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভীষণভাবে ঋণী। আর তা হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত আমি আরএসএসের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলাম।”

গতকাল নিজের অবসরের দিন এজলাসে বসে দীর্ঘ জীবন কাহিনীর বর্ণনা দিচ্ছিলেন বিচারপতি দাশ। তখনই অকপটে বিচারপতি বলেন অবসরের পর আরএসএসের কাছেই ফিরে যেতে চান তিনি। বিচারপতি দাশ স্পষ্টতই জানান, বিচারপতির পদে থেকে কখনও তিনি তাঁর চেয়ারের অপব্যবহার করেননি। তিনি বলেন, ‘সে কমিউনিস্ট হলেও যথাযথ রায়দান করেছি।’ কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলে তাকে আলাদা চোখে দেখেননি। বিজেপি বা কংগ্রেস সমর্থকের জন্য আলাদা পদক্ষেপ করেননি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে তার কাছে বিচারব্যবস্থা জীবনে কখনও কোনও ভুল কাজ করেননি বলে জানান বিচারপতি।

প্রসঙ্গত এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতিদের খোলাখুলিভাবে রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠনের ব্যাপারে সেরকম ভাবে কথা বলতে শোনা যেত না। সম্প্রতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদান সেই ধারণা বদলেছে।

বিচারপতি আরও বলেন, “RSS আমাকে সাহসী, ন্যায়পরায়ণ, অন্যদের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি এবং সর্বোপরি দেশপ্রেম এবং কাজের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হতে শিখিয়েছে।” তিনি বলেন, “আমার সাহস আছে। তাই আজ চাকরি থেকে অবসরের মুহূর্তে সকলের কাছে নিজের সত্যিটা স্বীকার করতে পারলাম। দীর্ঘ ৩৭ বছর নিজেকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।