সংক্ষিপ্ত
টানা পোড়েনের মাঝেই হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল-অখিলেশের সঙ্গে প্রথম সারিতেই দেখা মিলেছিল অভিষেকের।
এনডিএ জোটকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু ও নীতীশ কুমার। সেক্ষেত্রে দুই তরফেই লোকসভার স্পিকার পদের দাবি করেছেন। মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে চারজনকে দেখতে চান চন্দ্রবাবু নায়ডু। পূর্ণ মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় পাঁচজনকে রাখার দাবি জানিয়েছে জেডিইউ। নীতীশ-নায়ডু কিন্তু যে কোন সময় খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে শরিক উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
এই টানা পোড়েনের মাঝেই হয়েছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল-অখিলেশের সঙ্গে প্রথম সারিতেই দেখা মিলেছিল অভিষেকের। ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হলেন অভিষেক।
বৈঠকে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অভিষেক। তিনি বলেন বাংলার তিনজন বিজেপি সাংসদ নাকি যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। জানা যাচ্ছে যে, টিডিপি এবং জেডিইউ সহ ছোট ছোট বেশ কিছু দল যোগাযোগ শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে। বাংলায় তিনজন বিজেপি সাংসদ অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। ওদিকে আবার মহারাষ্ট্রসহ অন্যান্য রাজ্যে হঠাৎ করেই বদলে যেতে পারে সমীকরণ।
উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ রাখছেন একনাথ শিন্ডে শিবিরের সাংসদরা। আজ বিকেলে শরদ পাওয়ার এবং সঞ্জয় রাউতের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেকের। তাই এখনো পর্যন্ত খেলা ঘোরার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। সেদিন সকালে অখিলেশ যাদবের বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক। ডেরেক ও’ ব্রায়েনকেও দেখা যায় সঙ্গে। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান সপা প্রধান। চলে বৈঠক। বৈঠকের কয়েক মিনিট পর বেরিয়ে যান অভিষেক। তবে আপাতত জানা যাচ্ছে এটা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ। ইন্ডিয়া জটের বৈঠকের পরদিন সকালে অভিষেক হঠাৎ কেন অখিলেশের বাড়িতে গেলেন, সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।