সংক্ষিপ্ত
আত্মঘাতী হয়েছেন কলকাতার বিখ্যাত শিল্পী বন্দন রাহা। দুর্গাপুজোতে তার হাত ধরেই কার্যত এসেছিল থিমের ছোঁয়া। সাবেকি পুজোতে থিম দিয়ে এক নতুন সূচনা করেছিলেন তিনি।গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে শিল্পী বন্দন রাহার। কেন এই পথ বেছে নিলেন শিল্পী,তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
সাতসকালেই দুঃসংবাদ। আত্মঘাতী হয়েছেন কলকাতার বিখ্যাত শিল্পী বন্দন রাহা। দুর্গাপুজোতে তার হাত ধরেই কার্যত এসেছিল থিমের ছোঁয়া। সাবেকি পুজোতে থিম দিয়ে এক নতুন সূচনা করেছিলেন তিনি। বাঁশ-কাপড়ের একঢালা প্যান্ডেলের যুগে তার হাত ধরেই নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল দুর্গাপুজো। এহেন শিল্পীর অস্বাভাবিক মৃত্যু সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো না। গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে শিল্পী বন্দন রাহার। কেন এই পথ বেছে নিলেন শিল্পী, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শিল্পী। এবং সেই অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন বন্দন রাহা। মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর। ২০০১ কসবা বোসপুকুরের ভাঁড়ের প্যান্ডেলের স্রষ্টা শিল্পী বন্দন রাহার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে । একঘেয়েমি পুজো থেকে থিম ছোঁয়া এই কনসেপ্ট আজ থেকে ২২ বছর আগে এসেছিল তার মাথাতেই। কলকাতাতেই হাজার হাজার ভাঁড় দিয়ে প্যান্ডেল করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। একমুহূর্তের মধ্যে কসবার বোসপুকুরের দুর্গাপুজোর সমস্ত লাইমলাইটে টেনে নিয়েছিলেন তিনি। সেই ভাঁড়ের প্যান্ডেল দেখতে উপচে পড়েছিল মানুষেৎ ভিড়। দুর্গাপুজোর সেই সময়ে সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল শিল্পীর এই অনন্য সৃষ্টির কথা। এহেন স্রষ্টার মৃত্যু কোনওমতেই মানা সম্ভব নয়।শোকের ছায়া পড়েছে পুজো কমিটিগুলিতে।
কসবা বোসপুকুরের ভাঁড়ের প্যান্ডেলের স্রষ্টা শিল্পী বন্দন রাহা বাগুইআটির জগৎপুরের আদর্শপল্লিতে দাদার বাড়িতে ছিলেন । বহুবার ডাকাডাকি করার পরও কোনও সাড়া মেলেনি গত মঙ্গলবার। শেষমেষ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এবং পুলিশ এসেই দরজা ভেঙে শিল্পীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বোসপুকুর শীতলামন্দিরের দুর্গাপুজোর মন্ডপের দায়িত্বে ছিলেন শিল্পী বন্দন রাহা। সেই তখনকার সময়েই তাসের দেশ, ভাঁড়ের প্যান্ডেল, এপার বাংলা ওপার বাংলা-এই ধরনের থিমে মন্ডপসজ্জায় তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বন্দন রাহা। তার নাম সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে হালফিলে থিম পুজো নিয়ে যেভাবে পুজো কমিটি গুলির মধ্যে টক্কর চলে তাতে তিনি না থাকলেও তার হাত ধরেই সূচনা হয়েছিল থিম পুজোর। এখনকার ইঁদুর দৌঁড়ে তিনি শামিল না থাকলেও তার নিজের ভাবনার মধ্য দিয়েই ফুটিয়ে তুলতেন তার নতুন সৃষ্টিকে। তাতে এবার ইতি পড়ল। শিল্পীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।