সংক্ষিপ্ত
বাংলা জুড়ে একেবারে রীতিমত জাল জিনিসপত্রের রমরমা। জাল ওষুধের পর এবার কলকাতায় (Kolkata News) ধরা পড়ল জাল ইঞ্জেকশনের কারবার (Fake Injection Kolkata)। উল্টোডাঙার নর্থ সিটি নার্সিংহোমে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার। বিস্তারিত জানুন…
কলকাতা: বাংলা জুড়ে একেবারে রীতিমত জাল জিনিসপত্রের রমরমা। জাল ওষুধের পর এবার কলকাতায় (Kolkata News) ধরা পড়ল জাল ইঞ্জেকশনের কারবার (Fake Injection Kolkata)। ইঞ্জেকশনের মত গুরুত্বর একটি জীবনদায়ী ওষুধের ভুঁয়ো বেরনোর খবরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্বাস্থ্য মহলে।
জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে (Mumbai) তিন হাত ঘুরে কলকাতার নামী একটি হাসপাতালে পৌঁছেছে ওই জাল ওষুধ। সূত্রের খবর, উল্টোডাঙার নর্থ সিটি নার্সিংহোমে ইঞ্জেকশনের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে ক্ষতিকারক অ্যালবুমিন। এমনটাই অভিযোগ করেছে প্রস্তুতকারি সংস্থা। আরও জানা গিয়েছে, উল্টোডাঙার নর্থ সিটি নার্সিংহোমে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলার। তাঁদের অভিযানে ধরা পড়ে জাল ইঞ্জেকশনের বিষয়টি।
বাজেয়াপ্ত করা হয় দামি সংস্থার ব্রান্ড ব্যবহার করে নকল ইঞ্জেকশনের পাঁচটি ফাইল (Fake Injection)। যদিও ইঞ্জেকশনগুলি আদেও নকল ছিলো কিনা তা জানত না উল্টোডাঙার ওই নার্সিংহোম। এমনটাই দাবি করেছে নর্থ সিটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ওই নর্থ সিটি নার্সিংহোমের সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলারের আধিকারিকরা পৌঁছে যান বেলেঘাটার ওই ইঞ্জেকশনের গুদামে। জানা গিয়েছে, মেহতা বিল্ডিংয়ের এক স্টকিস্টের কাছ থেকে ওই জাল ওষুধ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ওষুধ ডিস্ট্রিবিউটারের। মুম্বইয়ের একটি সংস্থায় ওই জাল ওষুধের কারবার চালাচ্ছে বলে দাবি ওই ডিস্ট্রিবিউটারের।
এদিকে রাজ্যজুড়ে একের পর এক জাল স্যালাইন থেকে জাল ওষুধের খবরে উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোনও বাতিল ওষুধ ব্যবহার করা হয় কি না সম্প্রতি তা জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। যদিও কাউন্সিলরের ওই প্রশ্নের জবাবে পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন পুরসভার কোনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই ব্যবহার করা হয় না ব্যান হয়ে যাওয়া ওষুধ।
শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রচুর মানুষ ডাক্তার দেখাতে যান। সেখানে যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার গুণগত মান স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলারের তরফে পরীক্ষা করা হয়। তাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ওষুধও নেওয়া হয়। তাই পুরসভার ওষুধের গুণগত মান খারাপের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান অতীন ঘোষ।
প্রসঙ্গত, সময় বাঁচাতে এখন অনেকেই অনলাইনে ওষুধ কেনায় ভরসা রাখেন। কিন্তু অনলাইনে কেনা ওষুধ যে সবসময় ভালো হবে তা গ্যারান্টি দিয়ে কেউই বলতে পারে না। কারণ, অতিসম্প্রতি হাওড়ার এক বাসিন্দা অনলাইনে ওষুধ অর্ডার দেন। ওষুধগুলি হাতে পাওয়ার পর দেখা যায় সেগুলি জাল। ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে জাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। তারপর দমদম নাগের বাজার, আগরপাড়া, টিটাগড় বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে গিয়ে ধরা পড়ে নামী সংস্থার আড়ালে হার্টের জাল ওষুধের কারবার। তদন্তে দেখা যায় ওষুধগুলি সবই উত্তরপ্রদেশের এক হোলসেলারের কাছ থেকে এসেছিল। তবে ওষুধগুলি ঠিক কোন রাজ্যের তা এখনো জানা যায়নি। কারা এই জাল ওষুধের কারবার চালাচ্ছে সেই সব প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলার বিভাগ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।