সংক্ষিপ্ত
তাঁর বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর। এই বয়সেও নাকি তাঁর বিরুদ্ধে উঠছে তোলাবাজির অভিযোগ।
তাঁর বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর। এই বয়সেও নাকি তাঁর বিরুদ্ধে উঠছে তোলাবাজির অভিযোগ।
কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা।
তাতে যা দেখা যাচ্ছে, তা রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা বাংলায়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, ছন্দা সরকার একটি চেয়ারে বসে আছেন। উল্টোদিকে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে। একটি ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য টাকা চাইতে দেখা যাচ্ছে এই কাউন্সিলরকে।
৮০ টাকা প্রতি স্কোয়ার ফুট, অর্থাৎ মোট ১ লক্ষ টাকা। ভিডিওতে ছন্দা সরকারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমাকে ১ লাখ দিলেই হবে।” এবার সেই ভিডিও নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ছন্দা সরকার।
এদিকে সেই বয়স্ক কাউন্সিলর হাত জোড় করে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলএ বলেন, “বিশ্বাস করুন, আমি কোনও একটা প্রোগ্রাম করতে গেলেও পেনশনের টাকা তুলে করি। আমার পেনশনের টাকা ২-৩ মাসে যেটা জমে, সেই টাকা তুলে করি। আমি কোনও দিন কারোর টাকা নিইনি।”
তিনি দাবি করেছেন, এই ভিডিও অনেক পুরনো। তিনি কাউন্সিলর হয়ে আসার পরপরই। তাঁর কথায়, “আজ যেটা রটেছে এবং যারা করেছে, আমি কাউন্সিলর হওয়ার পরে পরে। ৭-৮ মাসের মধ্যেই। আমি বুঝিনি যে, ওরা এসব করতে পারে। কিন্তু তিলক ভট্টাচার্য আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিল, যে ওরা এটা করেছে। তখন আমি বলি, আমি তো বুঝতেই পারিনি। আমি তো কোনও টাকাই নিইনি। ও টাকা নিয়েছে। তিলক আমাদের দলেরই ছেলে। বাচ্চু যখন ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল, সেই সময় তৃণমূলের যুব প্রেসিডেন্ট ছিল তিলক। এখন বাচ্চু ১২৬-এ রয়েছে।”
যদিও ছন্দা সরকারকে দুষে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা এতটাই হাস্যকর। আর কিছু বলার নেই। ছন্দা সরকার যদি টাকা না নিয়ে থাকেন, তাহলে প্রয়োজন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে দেওয়া। ইজ্জত না থাকলে ইজ্জত নিয়ে টানবে কোথায়?”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।