সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতার বাবার দাবি, পুলিশ টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল, যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার পরিবারেরকে ঘটনার পরই টাকার দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। বুধবার আরজি কর হাসপাতালের আন্দোলনকারীদের পাশে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে তেমনই দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা মা। অন্যদিকে পরিবারের একাংশের মতে টাকা দেওয়ার কোনও প্রস্তাব কলকাতা পুলিশ দেয়নি। তবে সত্যিটা কী? তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। তাই নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, 'টাকা কিংবা টাকা নয়, দুই রমক ভিডিও প্রকাশ্যে। কৌতূহল টকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিন কিনা!'

নির্যাতিতার বাবা বলেছেন, '৯ তারিখ রাতে টাওয়ার দেওয়া হয়েছিল। তখনও মেয়ের দেহ দোতলায় শোয়ান ছিল। রা্নাঘরের পাশে একটি ছোট্ট জায়গায় নিয়ে গিয়ে টাকার প্রস্তাব দেন ডিসি নর্থ। আমি বলে আপনার কাঁধের আইপিএস সেখাটা পেতে যে কষ্ট হয়, আমার মেয়ে তার চেয়েও কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছেছে। আপনি আমাাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছেন! আমার খারাপ লেগেছিল।'

নির্যাতিতার বাবার এই মন্তব্যের পাল্টাই কুণাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন,

'টাকা?

অভিযোগ মারাত্মক।

টাকা কিংবা টাকা নয়, দুরকম ভিডিওই প্রকাশ্যে।

কৌতূহল, টাকার অভিযোগটা সিবিআইকে দেওয়া বয়ানে ছিল কি না। না থাকলে, কেন এত বড় অংশটা সিবিআইকে বলা হয়নি? আর যদি বলা হয়ে থাকে, তাহলে সিবিআই এতদিনে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে জিজ্ঞাসা করল না কেন?' কুণাল এই ঘটনারও সিবিআই তদন্তের পক্ষেও সওয়াল করেছেন।

 

 

অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবার বয়ানের পাল্টা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শশী পাঁজা তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন,'আমাদের এসব বলার কোনও দরকার নেই। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা কাউকে কিছুই বলিনি। মিথ্য গল্প বানিয়েছে। আমারা বিচার চাইছে। যাতে ন্যায় বিচাার পাই তার ব্যবস্থা করুণ। নিজের প্রচারের জন্য কেউ কেউ মিথ্য প্রচার করছেন।'

অন্যদিকে গতকাল প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শ্যামবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ান হয়। তাই নিয়েও সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্যামবাজারে তৃণমূলের পতাকায় পোড়ানো হচ্ছে। কয়েকজন যুবক এই কাজ করছেন। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে কখনও দলের পতাকা পোড়ানো হয় না। আমরাও কখনও পোড়াইনি, এসব সমর্থন করি না। অথচ কাল রাতে শ্যামবাজারে কিছু ছেলে এটা করল।’ এর পরই তাঁর তোপ, ‘নাগরিকদের আবেগ, প্রতিবাদের সুযোগে অন্য উদ্দেশ্যসাধন চলছে। নাগরিক প্রতিবাদকে সমর্থন। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদটাও হোক।’

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।