সংক্ষিপ্ত
একটা সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে কাছের মানুষ। রাজ্যের মন্ত্রীর পাশাপাশি কলকাতার মেয়রের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। তারপর দল ছাড়েন।
লোকসভা ভোটের আগেই কি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে ফেরা- বৃহস্পতিবার তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের সফরের পরই এই জল্পনা কলকাতার আকাশে বাতাসে। বর্তমানে শোভনের সঙ্গেই থাকেই তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল বৃহস্পতিবার তাদের দুজনের সঙ্গেই দেখা করেছেন। যদিও এই বিষয়ে দুই পক্ষই মুখ খুলতে নারাজ। কুণাল ঘোষ অবশ্য গোটা বিষয়টিকে সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে দাবি করেছেন।
একটা সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে কাছের মানুষ। রাজ্যের মন্ত্রীর পাশাপাশি কলকাতার মেয়রের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। তারপর দল ছাড়েন। যোগ দেন বিজেপিতে। দিল্লিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়েও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর বিজেপিতে তাঁকে কোনও দিনই তেমন সক্রিয় দেখা যায়নি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আসন নিয়েও বিজেপির সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয়। তারপর শোভন নিস্ক্রিয় হয়ে যান। তারপর অবশ্য ভাইফোটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তারপর আর তৃণমূলের সঙ্গে তেমন সক্রিয় যোগাযোগ দেখা যায়নি শোভেনের। যাইহোক এদিন শোভন- বৈশাখীর ফ্ল্যাটে কুণালের চা-চক্রের পরই সেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।
তবে এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'শোভনদার সঙ্গে আমার রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। শোভনদা পুরোপুরি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। উনি যদি রাজনৈতিকভাবে আবার সক্রিয় হন তা খুবই ভাল। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূলেহরর সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' অন্যদিকে শোভন জানিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া একটি ভুল ছিল। তিনি আরও বলেন, 'আমি মমতাদির লোক। দিদি যেদিন যেভাবে যখন নির্দেশ দেবেন আমি ঝাঁপিয়ে পড়ব।' বৈশাখী জানিয়েছেন, তিনি সবসময় শোভনের পাশে থাকবেন। তবে প্রশ্ন একটাই শোভনের সঙ্গে রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছে। রত্না এখনও তৃণমূলে রয়েছেন। শোভন ঘাসফুলে ফিরলে তিনি কি তৃণমূলে থাকবেন।