ED On Jiban Krishna Saha: চাকরি বিক্রির টাকা জীবনের অ্যাকাউন্টে। কীভাবে এলো এত টাকা। তা জানতে শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Jiban Krishna Saha Scam Case: ৬ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ। শনিবারই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে পেশ করা হবে আদালতে। সূত্রের খবর, তার আগে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বার করা হয় বড়ঞার বিধায়ককে। নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য। তারপরই আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা আবারও দাবি করলেন যে তিনি ফোন ফেলে দেননি। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলেও জানান। যদিও ইডি সূত্রের খবর তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল ফোন পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিকে।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে গ্রেফতারের পর প্রথমবার সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। তিনি বলেন, ''গ্রেফতারের কারণ যাচাই করে দেখা উচিত। গ্রেফতারের আমি মক্কেল ৩ বার হাজিরা দিয়েছে। আমার স্ত্রীও হাজিরা দিয়েছেন। সব নথি জমা দিয়েছি। প্রত্যেকবার তদন্তে সহযোগিতা করা হয়েছে। দেড় বছর ধরে হাজিরা দিয়েছি। গ্রেফতারের এত তৎপরতা কি দেখা দরকার। জামিন চাইছি না। মামলা থেকে মুক্তি চাইছি।''
অন্যদিকে সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, '' প্রচুর লেনদেন হয়েছে স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্ট এ। নিজের ক্ষেত্রে বলছে বাবা গিফট করেছে। স্ত্রী বলছেন চাকরি করে আয় করা টাকা। তিনি পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। ড্রেনে মোবাইল ফেলে দেওয়া হয়েছিল। জীবনকৃষ্ণ মূল চক্রী। নগদে কিংবা ব্যাংক একাউন্ট এ টাকা জমা নেওয়া হয়েছে। স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও টাকা জমা পড়েছে। বয়ান দিয়েছেন অনেকেই এই ব্যাপারে। এদিকে দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক বলেন, ''ইডি সব নিয়ম মেনে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা ৬ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে। সহযোগিতা করুন। তদন্ত চলুক। এটা খুব গুরুতর অপরাধ।''
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ED-র তলবে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি মায়া সাহা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন । SSC-র নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাঁইথিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলরকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ED সূত্রে খবর,ধৃত তৃণমূল বিধায়কের পিসি মায়া সাহা হাজিরা দিলে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে । প্রয়োজনে পিসি-ভাইপোকে মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তার যে মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি সেই মোবাইল ফোন তারই সামনে খুলে দেখবেন ইডি আধিকারিকরা । ইডি তাকে বেশকিছু নথি ব্যাংক এর স্টেটমেন্ট এবং সম্পত্তির নথি নিয়ে আসতে বলেছিল । তিনি নিয়েও এসেছেন । SSC-র নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, গত সোমবার জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসির বাড়িতেও হানা দেয় ED।
সাড়ে ৪টা ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সূত্রের খবর, আদালতে ED আধিকারিকরা দাবি করেছেন, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় জমা পড়েছে চাকরি-বিক্রির টাকা। নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, CBI-এর পর, এবার ED-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আদালতে নথি পেশ করে ED র দাবি,লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে, অযোগ্যদের সরকারি চাকরি বিক্রি করেছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।
২০১৯ থেকে ২০২১, এই ৩ বছরে জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় জমা পড়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ED-র বিশেষ আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, অ্যাকাউন্টে জমা পড়া ৫০ লক্ষ টাকার হিসেব পেশ করে। সেখানে সরকারি চাকরি পেতে তৃণমূল বিধায়ককে, কে টাকা দিয়েছে তার নাম, কত টাকা দিয়েছে তার অঙ্ক এবং তারিখের উল্লেখ রয়েছে বলে খবর সূত্রের। এমনকী, কোন ব্যাঙ্কের কোন অ্যাকাউন্টে নগদ জমা পড়েছে বা অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হয়েছে, তারও বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ED-র নথিতে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


