- Home
- West Bengal
- Kolkata
- শীত পড়তেই বাজারে সাধারণ মানুষের সস্তার প্রোটিনের দামে আগুন! ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
শীত পড়তেই বাজারে সাধারণ মানুষের সস্তার প্রোটিনের দামে আগুন! ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee On EGG Price Hike: শীতের মরশুম শুরু হতেই না হতেই রাজ্যজুড়ে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। কেন হঠাৎ এই দাম বৃদ্ধি? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
রাজ্যে ফের বাড়ছে ডিমের দাম
শীতকাল পড়তে না পড়তেই রাজ্যে হু-হু করে বাড়ছে ডিমের দাম। কিন্তু হঠাৎ কেন এই দাম বৃদ্ধি। সাধারণ মানুষের সস্তার প্রোটিনজাত খাবারের দাম এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোথাও কোথাও তা ১৬ টাকা জোড়াতে বিক্রি হচ্ছে। খোলা বাজারেও ডিমের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। হঠাৎ এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে এবার নবান্ন থেকে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ডিমের দাম বৃদ্ধির অস্বাভাবিক হারের এই কারণ হলো, ভিনরাজ্য থেকে আসা মুরগির খাবার বা ফিডের দাম বেড়ে যাওয়া। তিনি আরও বলেন, ‘’ যারা ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন-তাঁদের বলি আমরা ১২টি রাজ্যে ডিম সরবরাহ করি। ফিডের দাম প্রতিবছর ১২ শতাংশ করে কারা বাড়াচ্ছে? গিয়ে নিজেদের নেতাদের জিজ্ঞেস করুন।''
ফি়ডের জোগান ঠিক রাখার চেষ্টায় রাজ্য সরকার
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘’রাজ্য সরকার ভুট্টা এবং অন্যান্য শস্যের জোগান বাড়িয়ে ফিডের দাম ঠিক রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু আপনারা দাম বাড়িয়েই যাচ্ছেন। বাইরে থেকে উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিম বানিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মিথ্যে কথা বলবেন না।''
উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি
এখানেই শেষ নয়। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেও মঙ্গলবার নবান্নে সরব হন রাজ্যের সর্বোচ্চ নেত্রী। বলেন-''পাইকারি বাজার ও খুচরো বাজারের দামের ফারাক স্পষ্ট।'' এই বিষয়ে পোলট্রি ফেডারেশনের দাবি, পাইকারি বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম ৬টাকা ৮০ পয়সা হলেও খুচরো বাজারের ক্রেতাদের থেকে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
কী বলঠেন ব্যবসায়ীরা?
পশ্চিম মেদিনীপুর হলো রাজ্যের অন্যতম প্রধান ডিম উৎপাদনকারী জেলাগুলির মধ্যে একটা। এই জেলার পোলট্রি ফার্ম মালিককরাও খাবারের অস্বাভাবিক হারে দাম বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। কারণ, তাদের অভিযোগ, মুরগির খাবারের দামম প্রতি কেজিতে ৩ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। এবং উৎপাদন খরচও ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮০ পয়সা হয়ে গিয়েছে। ডিম উৎপাদনকারীরা জানাচ্ছেন যে, মুরগির অন্যতম খাবার হলো বাদামের খোলা। যা গুজরাট ও রাজস্থান থেকে আসে। সেগুলিরও দাম বেড়েছে। ফলে শীতে ডিমের দাম বৃদ্ধি এখন শুধুমাত্র অর্থনৈতিকই নয়। রাজনৈতিক তরজার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে।

