Manoj Pant Delhi: নির্বাচন কমিশনের তলবে এবার দিল্লি গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কী কারণে মনোজকে তলব? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন.. 

Manoj Pant Delhi: নির্বাচন কমিশনের তলবে দিল্লি গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আজ ৫টার মধ্যে তাকে নির্বাচন কমিশনে দেখা করার জন্য বলা হয়। সম্প্রতি ভোটার তালিকা নিয়ে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের সংঘাত দেখা দেয়। সেই আবহে এবার নির্বাচন কমিশনের তলবে দিল্লি গেলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন মুখ্যসচিব।

জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হয়নি। সময় বেঁধে দেওয়ার পরও নির্বাচন সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত চার অফিসারকে সাসপেন্ড করেনি নবান্ন। শুধুমাত্র নির্বাচন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া থেকে এক অফিসার ও এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সরানো হয়েছে। নির্দেশ না মানায় এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার বিকেল ৫টায় দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে।

বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই, এমন ভোটারের নাম তুলে দেওয়া হয়েছে ভোটার লিস্টে। ভয়ঙ্কর এই অভিযোগের পিছনে কাদের হাত রয়েছে, তা খুঁজতে গিয়ে কমিশনের হাতে এসেছিল পাঁচজনের নাম। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, ওই কেন্দ্রের AERO তথাগত মণ্ডল, আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং ওই কেন্দ্রের AERO সুদীপ্ত দাসের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ। এছাড়া, সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামও সামনে আসে। চার অফিসারকে দ্রুত সাসপেন্ডের নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আবার এই চারজনের পাশাপাশি ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধেও এফআইআরের সুপারিশ করা হয়। এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্য়সচিবকে চিঠি পাঠায় কমিশন।

সেই চিঠির জবাব না পাওয়ার পর ফের মুখ্যসচিবকে কমিশনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়। এবার ওই চার অফিসার ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পদক্ষেপের জন্য সোমবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত সময় দেয় কমিশন। সোমবার রাজ্যের তরফে কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, AERO সুদীপ্ত দাস ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি রাজ্য। তবে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপকে প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে। রাজ্যের ব্যাখ্যা হল, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তার পাশাপাশি থাকে ইলেকটোরাল রোল সংক্রান্ত কাজ। এত কাজ করার পরও কোনও তদন্ত ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে অন্যদের উপর প্রভাব পড়তে পারে।

কমিশনের নির্দেশ নবান্ন না মানায় এবার মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হল। মুখ্যসচিবকে কমিশনকে কী জবাব দেন, সেটাই এখন দেখার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।