সংক্ষিপ্ত

অক্টোবরের শেষে রেকর্ড পারদ পতনের সাক্ষী থাকলেও নভেম্বরে আর তেমন পারদ পতনের সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আপাতত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে তাপমাত্রা।

 

ভোরের দিকে রোজই কমছে তাপমাত্রা। শিরশিরে ঠান্ডার পাশাপাশি হালকা কুয়াশাও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে চড়ছে তাপমাত্রার পারদও। শীতলতম অক্টোবরের পরে এবার পাকাপাকি শীতের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। নভেম্বরেই কি তবে জাঁকিয়ে পড়বে শীত? আলিপুর অবশ্য জানিয়েছে এক্ষুনি কনকনে ঠান্ডার আমেজ পাবে না শহরবাসী। জমিয়ে শীত পড়তে এখনও সপ্তাহ দু'য়েক সময় লাগবে বলেই জানাল হাওয়া অফিস। এমনকি শীত অনুভূত হতে নভেম্বরের শেষও হতে পারে।

নভেম্বর মাসেও বজায় থাকবে কলকাতায়। অক্টোবরের শেষে রেকর্ড পারদ পতনের সাক্ষী থাকলেও নভেম্বরে আর তেমন পারদ পতনের সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আপাতত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়লেও রাতের দিকে ফের শীত অনুভূত হতে থাকে।

শুধু কলকাতা নয় একই আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও। ভোরের দিকে শিরশিরে ঠান্ডার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে একাধিক জেলায়।

অন্যদিকে শীতের আবহের মাঝেই বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আলিপুর সূত্রে জানানো হচ্ছে রাজ্যে যে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করেছে তার প্রভাব এতই অল্প যে এর জেরে বিশেষ ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই। পাকাপাকিভাবে শীত পড়তে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ হবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

অক্টোবরের শেষ থেকেই উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাংলায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর বিগত ১০ বছরে তাপমাত্রার এহেন পতন দেখেনি শহরবাসী। শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১২ সালে অক্টোবর মাসে ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছিল তাপমাত্রা। তারপর ফের ২০২২ সালে পূণরাবৃত্তি ঘটল সেই ঘটনার। শনিবার সকাল থেকেই শিরশিরে ঠান্ডা। জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও হেমন্তের হিমেল পরশে রীতিমত ঠান্ডা অনুভব করছে রাজ্যবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ। গতকাল রাতেই তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। উল্লেখ্য, গত দশ বছরে অক্টোবর মাসের মধ্যে তাপমাত্রার এহেন পতন দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন - 

"আমাকে আক্রমণ করো, বাড়িতে ঢুকবে না", হিরণের খোঁচার জবাবে কড়া উত্তর দেবের

গুজরাটের পর এবার মৃত্যু মিছিল বিহারে, ছট পুজোয় ডুবে মৃত্যু ৫৩ জনের

কিভাবে C-295 সামরিক পরিবহন বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভাগ্য পরিবর্তন করবে?